এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে “শুভেন্দু- রাজীবের কোম্পানি” বলে কটাক্ষ কল্যানের, জোর চাঞ্চল্য!

বিজেপিকে “শুভেন্দু- রাজীবের কোম্পানি” বলে কটাক্ষ কল্যানের, জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে যে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা জানেন প্রত্যেকেই। কিন্তু তৃণমূলের ছোট থেকে শুরু করে বড়স্তর বা মাঝারি স্তরের নেতারা নিজেদের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের দলের শেষ কথা বলে দাবি করলেও, বিভিন্ন জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তার দলে বুথের কর্মীরাই শেষ কথা। নির্বাচনের আগে কর্মীদের আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।

তবে কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা নেত্রী বললেও, নেত্রীর প্রতি আনুগত্য পোষণ করতে দেখা যাচ্ছে না একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট শীর্ষস্তরের নেতাদের। যার মধ্যে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতারা। যারা প্রত্যেকেই এখন দলবদল করে পদ্মফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর প্রত্যাশিতভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই শুভেন্দুবাবু থেকে শুরু করে রাজীববাবু প্রত্যেকেই প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে “পিসি-ভাইপোর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি” বলে ক্রমাগত আক্রমণ করেই চলেছেন।

আর এবার পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে আসল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তৃণমূলকে যখন “পিসি ভাইপোর কোম্পানি” বলে আক্রমণ করছেন দলত্যাগী নেতারা, তখন পাল্টা বিজেপিকে “শুভেন্দু- রাজীবের প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি” বলে আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বঙ্গ বিজেপি তো এখন শুভেন্দু রাজীব প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গিয়েছে। পুরনো বিজেপি নেতাদের কোনো খোঁজই নেই। এখন তৃণমূল থেকে গিয়ে এরা দুজন বিজেপি চালাচ্ছে‌। আমাদের দলের একটা নিয়ম আছে। সেই নিয়ম মেনে সব হবে। রাজীবের চিন্তা করার কিছু নেই। গণনার পর ওর মাথায় ঘোল ঢালা হবে। অমিত শাহের কাছে মাথানত করেছেন। বিভ্রান্তি তৈরি চেষ্টা করছেন এখন।”

বলাবাহুল্য, সম্প্রতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই কখনও সাংবাদিক, আবার কখনও বা পুলিশকর্মীদের ডাকা হতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সুকৌশলে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি তৃণমূল থেকে হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের দিকে এনে দলের পতাকা তুলে দিলেও, বিজেপির অন্দরে এই ব্যাপারে কিছুটা হলেও সমস্যা রয়েছে। দলের পুরোনো কর্মীরা এখন তৃণমূল থেকে বা অন্য দল থেকে নেতাকর্মীরা তাদের দিকে আসায় ঠিকমতো সকলকে হজম করতে পারছেন না। যার ফলে নিচতলায় বিজেপির অনেক নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, নির্বাচনের মুখে দল যখন সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে, তখন পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে নতুন কর্মীদের দলে নিয়ে এসে তাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী কোম্পানি হয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির বলে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে।

গেরুয়া শিবিরের একাংশ বলছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট ভয়ে রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক ব্যক্তি। তারা বিজেপিতে আসায় বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে ভীত হয়ে বিজেপির সমস্যা যাতে বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করছেন এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তৃণমূল বরঞ্চ নিজেদের ঘর সামলাক। তবে গেরুয়া শিবির যে কথাই বলুন না কেন, দিনের শেষে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে বিজেপির অন্দরের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু বিজেপি যদি নির্বাচনে ভালো ফলাফল করে, তাহলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার এই ধরনের বক্তব্য যে ভিত্তিহীন হয়ে দাঁড়াবে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক কূটকচালির মাঝে কল্যানবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিতে আগামী নির্বাচনে সাফল্য পেয়ে বিজেপি নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রুপ কতটা প্রকাশ করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!