প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নবান্ন অভিযানের মতো গতকাল বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতকাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আম্ফান দুর্নীতি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের দূরব্যস্থা সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চা উত্তরকন্যা অভিযান করে। বিজেপির বেশকিছু শীর্ষস্থানীয় নেতা গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গতকাল উত্তরকন্যা অভিযানে প্রাণ হারান জনৈক বিজেপি কর্মী। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। যার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

গতকাল সোমবার বিজেপির উত্তর কন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। দুদিক থেকে আসা বিজেপির মিছিলকে আটকাতে গেলে ধুন্ধুমার অবস্থার সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিজেপির অভিযানকে ব্যর্থ করতে, তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। আবার পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে মেরেছে বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের এক কর্মীকে হত্যা করা ছাড়াও বেশকিছু মহিলা বিজেপি কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।

গতকাল উত্তরকন্যা অভিযানের সময় জনৈক বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু ঘটে। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ বিজেপির পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকা হয়েছে। গতকাল মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে একটি বিশেষ টুইট করেছিল রাজ্য পুলিশ। যেখানে বলা হয়েছে, শটগানের গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর। তবে, এ ধরনের শটগান ব্যবহার করে না পুলিশ।

শটগানের গুলিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গে গুরুতর অভিযোগ করলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বেছে বেছে বিজেপি দলের কর্মীদেরই হত্যা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে, উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপির এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত রাতের অন্ধকারে করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন যে, মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের ওপর পুলিশ ও প্রশাসন বারবার চাপ সৃষ্টি করেছে। জোর করে মুচলেকা লেখানো হয়েছে তার পরিবারের কাছ থেকে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের পুলিশ শাসক দল তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।