বড়সড় চমক দিয়ে মুকুল রায়ের ঘোষণা – নভেম্বরেই বিজেপি সরকার! দল ছাড়ছেন ১০০ এর বেশি বিধায়ক? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য April 24, 2019 এই নির্বাচন যতই বাংলার প্রেক্ষাপটে মোদী বনাম দিদি হিসাবে দেখানো হোক – গোটা নির্বাচন পর্বটাই একই সরগরম করে রেখেছেন যিনি তাঁর নাম নিঃসন্দেহে মুকুল রায়। সদ্য তৃতীয় দফার ভোট শেষ হয়েছে – আর তারপরেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মুকুল রায়। তিনি এদিন দাবি করেন যে, মোট তিন দফার ভোটের শেষে ১০ টি আসনের মধ্যে ৭ টি আসনই পাবে গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকমহলে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে, কেননা তা সত্যি হলে নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা হবে। আর সেই বিস্ফোরক দাবির রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই, আরেক বিস্ফোরক দাবিতে বঙ্গ রাজনীতিকে রীতিমত নাড়িয়ে দিলেন মুকুল রায়। কি এমন দাবি করলেন এদিন তিনি যাতে তৃণমূলের ঘুম উড়ে যেতে পারে বলে মত রাজনৈতিকমহলের? তিনি এদিন দাবি করেছেন যে, রাজ্যের ১১০-১২০ জন বিধায়কের আমার সাথে সম্পর্কে আছে, ২৩ মে পর যে যে বিধানসভায় (বিজেপি) লিড পাবে, সেই সেই বিধানসভার বিধায়করা ইস্তফা দিয়ে দেবেন। নভেম্বরই বিজেপি সরকার। তবে সেই সব বিধায়করা বিজেপিতে আসবেন কিনা সে নিয়ে কিছু বলেননি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এটা সহজেই অনুমেয় যে তাঁরা বিজেপিতে আসবেন এমনটাই দাবি করতে চাইলেন তিনি। আর এই নিয়েই রাজনৈতিকমহল দাবি করছে যে তৃণমূলের চিন্তা বাড়লো। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই দাবি করছেন যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চান অনেকে। কিন্তু সময় চলে গেলেও লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত তেমন কোনো হেভিওয়েটকে তৃণমূল ভেঙে গেরুয়া শিবিরে আনতে পারেননি। তাতে অনেকে হতাশ হলেও, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের মতোই তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতিতে সঠিক সময় আর সুযোগের উপর সব কিছু নির্ভর করে। আর তাঁর সেই দাবিকে সত্য করে লোকসভা নির্বাচনের যত সময় এগিয়ে এসেছে, ততই তৃণমূলের ঘর ভেঙে বড় বড় হেভিওয়েট নেতাদের দলে টেনেছেন। যদিও সকলেই প্রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, শাসকদল ‘আবর্জনা’ বলে ‘বহিষ্কারের’ তকমা দিয়েছে। কিন্তু দলত্যাগীদের বহিস্কৃত করার মত রাজনৈতিক পদক্ষেপ বোধহয় রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল রায়ের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে। কেননা এরপরেই সেই বিখ্যাত লুচি-তরকারি পর্ব বা অর্জুন সিংয়ের মত দাপুটে নেতার তৃণমূল ত্যাগ। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এরপরেই কার্যত সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলের প্রচারে ব্রাত্য – তৈরী হয়েছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ। ফলে মুকুল রায়ের এই দাবির পর শাসকদলের অন্দরে অবিশ্বাসের বাতাবরণ আরও বাড়বে বই কমবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। https://www.facebook.com/MukulRoyOnline/posts/2642170879131250 আপনার মতামত জানান -