তিন আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত – বাকি ৩৯ আসনের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীপদ নিয়ে ঝড় উঠতে চলেছে আজ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য February 19, 2019 পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি সন্তপর্ণে ঢুকে পড়ছে ‘ইলেকশন মোডে’। জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের দিন নিয়ে কোনো ইঙ্গিত না দিলেও – বিভিন্ন সূত্রের খবর থেকে মনে করা হচ্ছে মার্চ মাসের প্রথম তিন দিনের মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে নির্বাচনের দিন – চালু হয়ে যেতে পারে আদর্শ নির্বাচনী বিধি। আর ভোটগ্রহণ হতে পারে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের মধ্যে। তবে সবটাই এখনও জল্পনার স্তরে থাকলেও – কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলায় বাম জামানার ইতি ঘটানো তৃণমূল কংগ্রেস ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই একাধিপত্য দেখাতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশজোড়া প্রবল মোদী-হাওয়ার মধ্যেও বাংলায় ৩৪ টি আসন জিতে দেখিয়ে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। আর এবার তো বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে – তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪২ টিই চাই – আর তাহলেই দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। যদিও, তৃণমূলের এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গেরুয়া শিবিরের দাবি, ৪২ টি আসন তো দূরের কথা তৃণমূল নাকি এবারে বাংলায় ২০-এর নীচে নেমে যাবে! গোটা রাজ্য জুড়ে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে ছাত্র-যুব, সাধারণ মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ বর্তমান শাসকদলের কাজকর্মে যে বাংলা থেকে বিজেপি অন্তত ২২-২৩ টি আসন জিতবে। আর বিজেপির এই দাবি যে শুধু কথার কথা নয় – বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্রবল ভাবে এই কথা বিশ্বাস করছেন, তা এবার বিজেপির টিকিট পাওয়ার উৎসাহ দেখলেই বোঝা যায়। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর – রাজ্যের ৪২ টি আসনের জন্য এবারে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আর তাই, আজ কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে বিজেপির বঙ্গ শিবিরের শীর্ষ নেতারা এক আলোচনায় বসছেন – সঙ্গে থাকছেন কেন্দ্রীয় স্তরেরও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নেতা। সেখানে ঠিক হবে, রাজ্যের ৩৯ টি আসনে কারা সাম্ভাব্য প্রার্থী। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে – গতবারের দুই বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া যথাক্রমে নিজের নিজের কেন্দ্র আসানসোল ও দার্জিলিং থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গতবারের নিজের জেতা আসন বিষ্ণুপুর থেকেই টিকিট পাবেন তৃণমূল ত্যাগী সাংসদ সৌমিত্র খাঁও। আর তাই লড়াইটা হবে বাকি ৩৯ আসনের মধ্যে। সূত্রের খবর, প্রতিটা আসনের জন্য ৩-৪ জনের নামের তালিকা তৈরী করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পাঠিয়ে দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বসে ঠিক করবেন চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম। কিন্তু, কারা ঠাঁই পাবেন রাজ্যের পাঠানো প্রতিটা আসনের এই ৩-৪ জনের তালিকায়? এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু রাজ্য স্তরের নেতা, কিছু জেলা স্তরের নেতা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিদ্বজন, কিছু সেলিব্রিটির নাম থাকতে চলেছে সেই তালিকায়। তবে, অন্যান্য দলের বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা নাকি নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করতে চান – এঁদের মধ্যে যাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় পাকা, তাঁদের সংশ্লিষ্ট আসন থেকে ইঙ্গিত দিয়ে নাম পাঠানো হবে। সব মিলিয়ে, বিজেপির এই প্রার্থী তালিকার আলোচনা ঘিরে তুমুল উৎসাহ গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরে। আপনার মতামত জানান -