এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েত থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘কাঁটা দিয়েই কাঁটা’ তুলতে চায় বিজেপি

পঞ্চায়েত থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘কাঁটা দিয়েই কাঁটা’ তুলতে চায় বিজেপি

লক্ষ্য আপাতত দুটি। এক – ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে অন্তত ২১ টি আসন জেতা। আর দুই – ২০২১ এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ‘পরিবর্তন’ ঘটিয়ে বাংলায় গেরুয়া রাজত্ত্ব কায়েম করা। অসম্ভব কঠিন যুদ্ধটা, কিন্তু মুকুল রায়কে সামনে রেখে সেটাই করে দেখাতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। আর তার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চায় তারা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই। এমনিতেই রাজ্যের অঘোষিত প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে গেছে গেরুয়া শিবির, সে রাজ্য জুড়ে হওয়া বিভিন্ন উপনির্বাচনের ফলেই হোক বা শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের আক্রমনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকাই হোক – বিজেপি শিবির মনে করে এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল এখন তারাই। আর তাই এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠে রাজ্যের শাসকদল হয়ে উঠতে মরিয়া তারা।

ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। আর সেই যুদ্ধে বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে এরকম বহু যুদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়ে আনা অধুনা বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের নেতৃত্ত্বে। আপাতত পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, যেকোনো প্রকারে রাজ্যের প্রতিটি বুথেই প্রার্থী দিতে হবে। অত্যন্ত কঠিন কাজ, কেননা বিজেপি শিবির মনে করে এরফলে শাসকদলের প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হবে, ফলে প্রতিটি আসনে এক নয়, অন্তত তিনজন করে প্রার্থী ঠিক করে রাখতে চাইছে তারা। তাছাড়া এবারে মহিলাদের জন্য ৫০% সংরক্ষণের ফলে বহু জায়গাতেই শাসকদলকে নতুন প্রার্থী দিতে হবে, ফলে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে গোষ্ঠীকোন্দল, আর তার ফায়দা সম্পূর্ণভাবে তুলতে চায় গেরুয়া শিবির বলেও খবর। প্রয়োজনে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধকেও টিকিট দিয়ে কার্য হাসিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ত্ব, অর্থাৎ সোজা কথায় ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা’ তোলার ‘ফর্মুলায়’ হাঁটতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের মতে এই দুটি কাজ ঠিকঠাক করা গেলেই অর্ধেক কাজ সারা হয়ে যাবে। আর তারপর, রাজ্যের শাসকদলের ‘দুর্নীতি’ সাধারণ মানুষের কাছে ফাঁস করে দিতে পারলেই বাকি কাজ হয়ে যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে যখন লড়েছিলাম, তখন আমাদের শক্তি ছিল সীমিত। এখন আমরা রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি। তাহলে প্রথম শক্তি হয়ে ওঠাও কঠিন কাজ নয়। মানুষ আমাদের ভোট দিচ্ছেন, তাই আমরা রাজ্যে এগিয়ে চলেছি, আমাদের ভয় পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তাই লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে গেলে চলবে না, শেষপর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের দায়িত্ত্ব প্রাপ্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, তৃণমূল ভোট লুঠের পরিস্থিতি তৈরি করে রেখে দিয়েছে, পুলিশ রয়েছে শাসকদলের সঙ্গে। তা সত্ত্বেও আমাদের রুখতে হবে শাসকের ভোট লুঠের চক্রান্ত, মানুষকে বোঝাতে হবে বিজেপি মানুষের স্বার্থে কাজ করে। এই লড়াই যে আমরা জিততে নেমেছি সেই বিশ্বাস রাখা সর্বাগ্রে দরকার, সেই বিশ্বাস থাকলে জয় অধরা থাকবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!