পঞ্চায়েত ভোটার জন্য কোন ভোটারদের টার্গেট করছে বিজেপি জেনে নিন রাজ্য February 21, 2018 মাত্র কদিন আগে তিন তালাক প্রথার বিরোধীতা ও ঐ প্রথার প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই চারজন মুসলমান মহিলা একসঙ্গে হজযাত্রা করতে পারবেন, আর এই ধর্মযাত্রার সরকারী ভর্তুকী উঠিয়ে দিয়ে সেই অর্থ মুসলমান মেয়েদের শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে ঘোষণা করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মহিলাদের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা কেন্দ্রে মোদী সরকারের। এই ধারণার বশবর্তী হয়ে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক আসনে জয় লাভের অনুমান করছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্র নেতৃত্বের করা সমীক্ষা অনুসারে এই রাজ্যে ২৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস । এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ভিত্তিতে জানা যায় রাজ্যে ৩১ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। যার মধ্যে উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ এই তিন জেলা মূলতঃ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। বিজেপি সূত্রের খবর অনুসারে যে ইসলাম ধর্মে জাতিভেদ প্রথার কোনো অস্তিত্ব নেই সেখানে রাজ্য সরকার বিভাজন আনছেন। ওবিসি কোটা তৈরী করে মুসলমানদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মুসলিমদের জন্যে কোনো কর্ম সংস্থান হয়নি । এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন , “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (দিদি) মুসলমানদের চাকরিও দিতে পারেন না ৷ অথচ সরকারি ভাবে পাকাপাকি তাদের নীচপ জাতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ৷ দিদি যদি চাকরি দিতে পারতেন, তবে রাজ্যে মাত্র ১ শতাংশ মুসলমান সরকারি চাকরি করতেন না ৷ সংখ্যাটা বাড়তো ৷” এমনকি গুজরাট রাজ্যের সাথে পশ্চিমবঙ্গের ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের জীবন যাত্রার মানের তুলনামূলক আলোচনাও করেছেন তিনি। গুজরাট প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু জানালেন ,” গুজরাটে ৭ শতাংশ মুসলমান জনতার ৬ শতাংশই রাজ্য সরকারের চাকুরে ৷ মাত্র ১ শতাংশ ব্যাবসা করেন ৷ আর যারা ব্যাবসা করেন, তারা আর্থিক ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত ৷গুজরাট থেকে কতজন হজ যাত্রা করেন সেই হিসেবটা অকবার রাজ্য সরকার নিয়ে নিক ৷ রাজ্য থেকে কতজন হজ করতে যায় ৷ সেই হিসেবটাও পাশাপাশি রাখা হোক ৷ তফাৎটা বোঝা যাবে ৷ বিজেপি সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক হিসেবে দেখে না ৷ একজন মুসলমান ভারতবাসী এবং একজন হিন্দু ভারতবাসী উন্নয়নের খাতায় পাশাপাশি থাকে ।” আপনার মতামত জানান -