শাসকদলকে বড় ধাক্কা দিতে শুভেন্দু-গড়ে সংগঠন বিস্তারে উঠেপড়ে লাগল গেরুয়া শিবির পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া মেদিনীপুর রাজ্য August 24, 2018 আসন্ন লোকসভা ভোটকে নিশানা করেই শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তৃণমূলকে রুখতে নয়া পরিকল্পনা করল গেরুয়া শিবির। বুথস্তর থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত সংগঠন বাড়ানোর নির্দেশ এল বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেভাবে দলবেঁধে বিজেপি নেতারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তা দেখে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলে সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত দুই মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলে শাসকদলকে ভালোই টেক্কা দিয়েছিল বিজেপি। প্রকাশ্যেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বহুবার গর্জে উঠে বলতে দেখা গেছে, আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রাণকেন্দ্র জঙ্গলমহল থেকেই জোড়ফুল উপড়ে ফেলেবে বিজেপি। কিন্তু কালে কালে যেভাবে বিজেপির সংগঠন শক্তিহীন হচ্ছে তাতে চিন্তা বেঁধে গেছে গেরুয়াশিবির কর্তাদের। তাই অবিলম্বে সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার জন্য আলোচনায় বসল জেলা বিজেপি কমিটির সদস্যরা বলে সূত্রের খবর। এদিন কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি হলে গেরুয়া শিবিরের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা জোন বিস্তারক বিনোদ কুমার, রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী, দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নয়া সভাপতি তপন মাইতি প্রমুখরা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ বড় সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকরা এসেছিলেন এই বৈঠকে যোগ দিতে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে? উওর পাওয়া যায় বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন মাইতির কাছ থেকে। তিনি জানান, দলের সাংগঠনিক ভিতকে পোক্ত করতে কী কী কর্মসূচি পালন করতে হবে,সম্মিলিত প্রয়াসে কীভাবে কাজ করতে হবে,কীভাবে বুথস্তর থেকে জেলা স্তরে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে সমস্ত বিষয়েই এদিন আলোকপাত করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত বিশ্বপ্রিয়বাবু বলেন, ‘নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, কর্মতৎপরতা, তারুণ্যের মেলবন্ধনে নবনির্বাচিত এই জেলা কমিটি আগামী দিনে রাজ্য বিজেপির কাছে অন্যতম শক্তিশালী জেলার উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে আশা রাখি’। এখন পরিকল্পনা মাফিক পথে চলে বিজেপি ফিল্ডে নেমে চার-ছয় মারতে পারে নাকি প্রতিপক্ষের প্রথম বলেই প্রথম বলেই ‘গো টু প্যাভিলিয়ন’ হয় সেটাই দেখার – এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে সরস মন্তব্য এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার! আপনার মতামত জানান -