এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একুশে বিজেপি ৫ টি আসনও পাবে না! জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী

একুশে বিজেপি ৫ টি আসনও পাবে না! জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী

বাংলার জনতা উপনির্বাচনে বেছে নিয়েছে তৃণমূল দলকে। লোকসভা ভোটে বিজেপির অত্যাশ্চর্য উত্থানের ঠিক ছমাসের মধ্যে তাঁদের আত্মবিশ্বাসে প্রবল ধাক্কা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল জিতে নিল তিনটি আসনই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এনআরসি নিয়ে রাজ্যবাসীর বড় অংশের আশঙ্কা ঠিক ভাবে পড়তে পেরেছেন মমতা এবং সেইমতো আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন ক্রমাগত। জয়ের নেপথ্যে এখানেই মমতা বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরাজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে দলের নিচুতলা থেকে সাংসদরা-কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপনির্বাচনের খারাপ ফল নিয়ে ইতিমধ্যে যুক্তি দিতে গিয়ে বললেন, অনভিজ্ঞতার কারণে উপনির্বাচনের এই খারাপ ফল। জেতা আসনও হাত থেকে বেরিয়ে গেল। তবে তিনি দাবি করেছেন, শুধুমাত্র করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুরের নির্বাচনের খারাপ ফলের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের বিধানসভা নির্বাচনের ভবিষ‍্যৎ দিক নির্ণয় করা ঠিক হবে না। তিনি এখনও আশাবাদী, 2021 এ বিজেপি বাংলা অধিকার করবে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কটাক্ষ করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি জানিয়েছেন, 2021 এ বিজেপি এরাজ্যে পাঁচটি আসনেরও অধিকারী হবে না।

প্রেস্টিজ ফাইটে হেরে গেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। করিমপুর কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদরের মধ্যে খড়গপুর ছিল দিলীপ ঘোষের নিজের কেন্দ্র। মেদিনীপুর থেকে গত লোকসভা ভোটে সংসদ হওয়ার আগে দিলীপবাবুর কেন্দ্র ছিল খড়গপুর। খড়গপুর জেতার ব্যাপারে বিজেপি 100% নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এতদিনের জেতা আসন উপনির্বাচনে হাত থেকে বেরিয়ে গেছে অত‍্যাশ্চর্যভাবে। যদিও উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে কিছুতেই মুসড়ে পরতে রাজি নন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি উল্টে বলেছেন, গোটা দেশেই উপনির্বাচনে সংশ্লিষ্ট শাসক দল জয়লাভ করে। তাতে এরকম ভাবার কোনো কারণ নেই যে পরবর্তী নির্বাচনেও শাসক দল জয়লাভ করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা এখনো অনভিজ্ঞ। সে কারণে পুলিশ, প্রশাসন ও দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মোকাবিলা করে তাঁরা জেতা আসন দখলে রাখতে পারেনি। তিনি পাল্টা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে এদিন বলেন, ‘আসল লড়াই তো হবে 2021 এ। তৃণমূল যদি ভাবে যে উপনির্বাচনে তিনটি আসনে জিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় থেকে গেল, তাহলে ভুল করছে।’দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পাল্টা কটাক্ষ হেনে বলেন, ‘তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে গো-হারা হেরেও বিজেপি-র লজ্জা হয়নি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ওরা পাঁচটি আসনে ও জিতবে না। বিজেপি বরং 2056-র প্রস্তুতি নিক।’

একসময় কাঁথি দক্ষিণ ও সবং বিধানসভায় উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তারপর লোকসভা ভোটেও বাংলায় বিজেপির শক্তিশালী উত্থান হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এবার উপ নির্বাচনে জেতা তো দূর অস্ত, তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের ধারেকাছেও আসতে পারল না বিজেপি। লোকসভা ভোটের নিরিখে একমাত্র করিমপুর ছাড়া অন্য দুটি জায়গাতেই তাঁদের ভোট কমেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজ্যের বিজেপি নেতারা সাংসদ হওয়ার আগে বাংলায় যতটা নজর দিয়েছিলেন, ইদানিং সেভাবে তাঁরা বাংলায় নজর দেননি। যার ফল এখন ভুগছে বাংলার বিজেপি। আপাতত পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে ইতিমধ্যে নানান পরিকল্পনার আশ্রয় নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!