এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপিকে নিয়ে এত মাথাব্যথা! বেকারত্ব, দুর্নীতি নিয়ে কবে ভাববে রাজ্য? বিবেক জাগালেন শুভেন্দু!

বিজেপিকে নিয়ে এত মাথাব্যথা! বেকারত্ব, দুর্নীতি নিয়ে কবে ভাববে রাজ্য? বিবেক জাগালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছে, ছেলে মেয়েরা রাস্তায় বসে রয়েছে, আন্দোলন করছেন চাকরির দাবিতে। সরকারি কর্মচারীরা ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। কিন্তু সেদিকে নজর নেই অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের। মাঝেমধ্যে তারা সেই খবর দেখিয়ে আবার চুপ করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপির রাজ্য দপ্তরের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেটাই দিনভর টেলিভিশন মিডিয়ায় টেলিকাস্ট করতে হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের। এছাড়া তো অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের কাছে আর করার মত কিছু নেই। কারণ তাদের তো মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি রাখতে হবে, তাই তারা বিজেপিকে চাপে ফেলতে তাদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে, এমন একটা চিত্র গোটা রাজ্যের মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিয়ে বোঝাতে চাইছেন, বিজেপি বলে রাজ্যে আর কিছু নেই। বিজেপি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এসব বলে কি মূল বিষয় থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে পারবেন এই অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা? আদতে তো তারা এই সমস্ত খবর দেখিয়ে রাজ্যের মানুষের ক্ষতি করছেন। কেন তারা ভুলে যাচ্ছেন, তারা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ? এবার সেই নিয়েই সেই সমস্ত মিডিয়াদের বিবেক জাগানোর চেষ্টা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির অফিসের বাইরে বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনাদের এসব নিয়ে এত ভাবতে হবে না। আপনারা বরঞ্চ শিক্ষা দূর্নীতি নিয়ে ভাবুন। আপনারা বেকারত্ব নিয়ে ভাবুন। আপনারা রাজ্যের সমস্যাকে ফোকাস করুন।” এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, শুভেন্দুবাবুর দলের কাছে এটা চাপের কারণ। তিনি উত্তর দিতে পারছেন না। তাই তিনি এই ধরনের কথা বলে গোটা বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তবে তেমনটা মোটেই নয়। শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু এই বক্তব্যের আগে কি জন্য বিক্ষোভ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সেই বিক্ষোভ থামাতে বিজেপি কি করবে, সেটা প্রকাশ করেছেন। তবে তার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের প্রকৃত কাজ কি, সেটাও তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কোনো দলের ভেতরে কি হচ্ছে, সেটা নিয়ে আলোচনা না করে রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করাই সংবাদমাধ্যমে প্রকৃত দায়িত্ব এবং কর্তব্য হওয়া উচিত। তাই জ্বলন্ত সমস্যাকে তুলে এনে তা নিয়ে আলোচনা করে মানুষের কথা মিডিয়া হাউসগুলোর বলা উচিত বলেই মত সমালোচকদের।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এই রাজ্যে চোখে চোখ রেখে শাসকদলের নেতাদের প্রশ্ন করার সাহস সাংবাদিকদের নেই। সবাই অনুপ্রাণিত মিডিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দপ্তর থেকে বেরোনোর পর নরম নরম প্রশ্ন তাকে করে সন্তুষ্ট রাখতে দেখা যায় সাংবাদিকদের। কেউ জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেন আজকে কালো জামা পড়ে এসেছেন! কেউ জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেন আজকে সাদা জামা পড়ে আসেননি? ফলে তারা শাসকের বিরুদ্ধে রাজ্যে যে দুর্নীতি হচ্ছে, রাজ্যে যে বেকারত্ব তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন, এটা কল্প ষবিজ্ঞানের গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে কথা বললেন, তাতে অন্তত বিবেক জাগ্রত হওয়া উচিত এই সমস্ত সাংবাদিকদের। কিন্তু এরপরেও তারা কতটা রাজ্যের মানুষের স্বার্থে খবর করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ সেই খবর করলে তো তারা শাসকের চক্ষুশূল হয়ে যাবেন। আর সেই পথে অনেক সাহসী সাংবাদিক চাইলেও পা বাড়াতে পারছেন না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যে যে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং সাংবাদিকরা চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করে শাসক দলের নেতাদের, সেখানেই তাদেরকে কেস দিয়ে চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত অনেকেই আদালতের দরজা থেকে জয় নিয়ে এসেছেন। এখনও তারা প্রচুর বাধা সত্বেও শাসকদলের বিরুদ্ধে কথা বলেই চলেছেন। তবে বেশিরভাগ মিডিয়াই অনুপ্রাণিত মিডিয়া হয়ে গিয়েছে। যার জন্য তারা বিজেপি নেতাদের কাছে অস্বস্তিকর প্রশ্ন করছেন, তাদের চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে শুভেন্দু অধিকারী এদিন পাল্টা সাংবাদিকদের কাছে যে কথা বললেন, তাতে অবশ্য সেই সাংবাদিকদের বিবেক কিছুটা হলেও নাড়া দিতে বাধ্য। কিন্তু এরপরেও যদি তারা ক্রমাগত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে খুশি রাখতে বিজেপিকে খাটো করার জন্য খবর করে যান, তাহলে তা রাজ্যের মানুষের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!