এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর ঠেলায় হুঁশ ফিরলো মমতার! সিভিকদের বোনাস নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল রাজ্যের! হাসছে বিরোধীরাও!

শুভেন্দুর ঠেলায় হুঁশ ফিরলো মমতার! সিভিকদের বোনাস নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল রাজ্যের! হাসছে বিরোধীরাও!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেবীপক্ষ পড়ার আগেই পুজোর উদ্বোধন করে এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারী রোষানালে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অস্বস্তি তিনি কি করে ঢাকবেন, তার চেষ্টাই হয়ত করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার মাঝেই আজ সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পূজার বোনাস 5 হাজার 300 টাকা করে দেওয়া হলেও, রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পূজার বোনাস 2 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গোটা ঘটনাকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলেই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।

স্বাভাবিক ভাবেই এতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাজ্য সরকার। যে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তিনি এই ধরনের বৈষম্য কি করে করছেন, তা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও প্রশ্ন তোলার হিড়িক পড়ে যায়। তবে অবশেষে সেই ব্যাপারে ট্যুইট করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনার পর্যবেক্ষণ করে তেমনটাই বলছেন সমালোচকরা। প্রসঙ্গত, সিভিকদের বোনাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করার পরেই আসরে নামেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, রাজ্যের সকল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একই পরিমাণে অর্থাৎ 5 হাজার 300 টাকা করেই পুজোর বোনাস দেওয়া হবে।

আর এখানেই একাংশ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কি শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের পর নতুন করে এই ঘোষণা করলেন? অনেকে বলছেন, যদি শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য মিথ্যা হত, তাহলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনের রাস্তায় হাঁটতেই পারত রাজ্য সরকার। কিন্তু তেমনটা করেনি তারা। ফলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী এবার সম পরিমাণ বোনাস বলে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাই করলেন। আসলে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিমুহূর্তে এই রাজ্যকে গোল দিয়ে যাচ্ছেন। পুজোর আগে আরও একটা গোল খেয়ে মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে ময়দানে নামতে হলো বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ট্যুইট দেখে হাসতে শুরু করেছে বিরোধীরাও। তারা বলছেন, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। যে সিভিকদের দিয়ে সমস্ত কাজ করিয়ে নেয় এই সরকার এবং তাদের নেতারা, তাদেরকেই বৈষম্যের মুখে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তবে শুভেন্দু অধিকারী সেই চালাকি ফাঁস করে দিয়েছেন। আর তারপরেই রীতিমতো লজ্জায় পড়ে গিয়েছে এই রাজ্য সরকার। যার জন্য এখন ট্যুইট করে “সবার বোনাস একই” বলে প্রচার করতে হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ তিনি খুব ভালো করে বোঝেন, এই গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যজুড়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে কি পরিমান বিদ্রোহ তৈরি হতে পারত! আর তাতে সরকার প্রবল বিপদে পড়ত। তাই মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত আসরে নামলেন বলেই দাবি করছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কথায় কথায় তো আইনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায় এই রাজ্যের সরকারকে। শুভেন্দু অধিকারীকে বিপদে ফেলতে আইনজীবীদের পেছনে তো কম খরচ করেনি এই রাজ্য। বিরোধী দলনেতা একাধিকবার তথ্য দিয়ে সেই কথা স্পষ্ট করেছেন। ফলে সিভিকদের বোনাসের বৈষম্য নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এত বড় অভিযোগ করলেন, আর তাতে যদি বিন্দুমাত্র মিথ্যা থাকত, তাহলে তো আদালতের দরজায় যেতে সময় নিত না এই রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতার বক্তব্যকে মিথ্যা বলে সিভি দের প্রতি যে সরকার সহনশীল, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন। আসলে আর কিছুই নয়। শুভেন্দু অধিকারী সরকারের গোপন বিষয়টি ধরে ফেলেছিলেন। তা জনসমক্ষে এনে দিয়েছিলেন। আর তাতে প্রেস্টিজ পামচার হয়ে গিয়েছিল নবান্নের। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে কন্ট্রোল করে নিজেদের একটা জনদরদী ভাবমূর্তি সামনে আনার চেষ্টা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!