এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিকে সরাতে তৃণমূলের পাশে প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী, জোর জল্পনা!

বিজেপিকে সরাতে তৃণমূলের পাশে প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী, জোর জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়েই উত্থান হয়েছে বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। সময়ের নিয়মে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এখন তৃণমূলের প্রধান শত্রু বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করার পর পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির। দীর্ঘ বছর এই ত্রিপুরাতে বামেদের দখলে ছিল ক্ষমতা। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বিজেপি সরকার রয়েছে‌। তবে 2023 সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সেখানে নিজেদের সংগঠন চাঙ্গা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানাভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। এক্ষেত্রে বিজেপির এক বিধায়ক তালিবানি কায়দায় তৃণমূলের ওপর হামলা চালাতে হবে বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এভাবেই বিজেপি গণতন্ত্রের করছে। আর একসময় যে বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়েছিল, সেখানেই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের গলায় তৃণমূলের প্রতি নমনীয় মনোভাব পোষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে এল। যাকে কেন্দ্র করে নয়া গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, এদিন ত্রিপুরার বিজেপির বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের একটি মন্তব্যের বিরোধিতা করে কার্যত তৃণমূলের পাশে দাঁড়ান ত্রিপুরার বিগত বাম সরকারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, “বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য কাম্য নয়। আসলে তারা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই যারা সাহসিকতার সহকারে প্রতিবাদ করছে, তাদের দমন করতে এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। যারা এই ভাবে প্রতিবাদ করছেন, তাদেরকে আমি অভিনন্দন জানাই।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্রিপুরার মাটিতে বর্তমানে বামেরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বাংলাতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বামেদের প্রতি সুর নরম করতে দেখা যাচ্ছে একসময় বাম বিরোধিতায় সরব তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে চাপে রাখতে যখন বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলগুলো এককাট্টা হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে, তখন ত্রিপুরার মাটিতে যখন তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তখন তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে একঘরে করতেই মানিক সরকারের এই ধরনের কৌশলী মন্তব্য বলেই মনে করছেন একাংশ। অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়াতেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলা এখন মানিকবাবুদের প্রধান লক্ষ্য বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রথম বামেরা একটি আসনও পশ্চিমবঙ্গ থেকে দখল করতে পারেনি। বরঞ্চ তাদের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে এখন বামেদের অস্তিত্ব কার্যত ক্ষয়িষ্ণুর পথে। তাই এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরাতে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন গড়তে উদ্যত, তখন নিজেরা হালে পানি পেতে বিজেপির বিরোধিতা করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরকে চাপে ফেলে ঘাসফুল শিবিরকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল।

অর্থাৎ ত্রিপুরার বামেরা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, এই সময় যদি তৃণমূলের বিরোধীতা করা হয়, তাহলে তারা কোনোমতেই রাজনৈতিক অক্সিজেন পাবে না। তাই সুযোগ বুঝে এখন বিজেপিকে চাপে ফেলে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করাই যে মানিক সরকার এবং তার টিমের প্রধান লক্ষ্য, তা এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!