এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির দলীয় কর্মশালায় অনুপস্থিতি ঘিরে ভাঙনের আশংকা তীব্র হচ্ছে, পেছনে কি মুকুল যোগ?

বিজেপির দলীয় কর্মশালায় অনুপস্থিতি ঘিরে ভাঙনের আশংকা তীব্র হচ্ছে, পেছনে কি মুকুল যোগ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে শুরু হয়েছে দলীয় কর্মশালা। রীতিমতো ঘোষণা করে এই কর্মশালায় সমস্ত বিধায়ককে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দিলীপ-শুভেন্দুর পক্ষ থেকে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল অন্য ছবি। অন্তত ছয় জন বিধায়ক এই কর্মশালায় অনুপস্থিত ছিলেন, আর সেখান থেকেই আবার ভাঙনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। একইসাথে সন্দেহের তালিকায় এসে পড়েছেন মুকুল রায় স্বাভাবিকভাবেই। প্রসঙ্গত এই কর্মশালায় মুকুল রায় বিধায়ক হিসেবে যে থাকবেননা তা সবারই জানা। কিন্তু মুকুল বাদ দিয়েও আরো বেশ কয়েকজনের অনুপস্থিতি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের কপালে।

তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, দার্জিলিং এর বিধায়ক নীরজ জিম্বা, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কুলটির বিধায়ক অজয় কুমার পোদ্দার এবং ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং। কার্যত 74 জন বিধায়কের মধ্যে হাজির ছিলেন 68 জন। কিন্তু এই সামান্য ফারাকও গেরুয়া শিবির মানতে রাজি নয়। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে একমাত্র তন্ময় ঘোষ দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ দর্শিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলে বিজেপি বিধায়কদের অনুপস্থিতির নানা কারণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর তার মধ্যেই উঠে আসছে মুকুল রায়ের নাম।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করেছে নিজেদের মতন করে। অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্বেও তিনি এখন রাজনৈতিকভাবে চাপে। কারণ তাঁর ভাই তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টায় পুলিশি হেফাজতে। পাশাপাশি ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং এর বাবা হলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যিনি এই মুহূর্তে একের পর এক মামলায় রীতিমত ফেঁসে আছেন বলা যায়। সেক্ষেত্রে সরকারি পালাবদলে আইনি রক্ষাকবচের বিষয়টি মূল ভাবনা হতে পারে। অন্যদিকে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ভোটের আগেই তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তখন থেকেই তাঁর দলবদলের ভাবনাটি উঠে এসেছিল। এমনকি তাঁর এলাকায় তিনি বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। একইসাথে কুলটির বিধায়ক অজয় কুমার পোদ্দার এই মুহূর্তে ব্যাপক চাপে আছেন। কারণ মাত্র 679 ভোটে জয়ী হলেও মামলার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি তিনি বিধায়ক পদ বাঁচাতে না পারেন, তাহলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সবশেষে দার্জিলিং এর বিধায়ক নীরজ জুম্বা বর্তমানে পাহাড়ের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিধায়কদের অনুপস্থিতির পেছনে মুকুল রায়ের হাত থাকার কথা অস্বীকার করতে পারছেননা বিশেষজ্ঞরাও।

মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়ার সাথে সাথেই গেরুয়া শিবিরের ভাঙন অনিবার্য হয়ে পড়ে। কার্যত সময়ের সাথে সাথে দেখা গেছে এই কথার সত্যতা। মুকুল রায়ের হাত ধরে অনেকেই ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে অনুপস্থিত বিধায়কদের নিয়ে চিন্তা যাচ্ছেনা গেরুয়া শিবিরের। তবে অনুপস্থিত বিধায়কদের নিয়ে গেরুয়া শিবির কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অনুপস্থিতি কিন্তু কার্যত গেরুয়া শিবিরের চাপ বাড়িয়ে দিল বলা যায়।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!