কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন তথ্যে বড়সড় বেকায়দায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জাতীয় June 23, 2018 সংবাদ সংস্থা আইএএনএস’র সৌজন্যে এক বিস্ময়কর তথ্য এবার প্রকাশ্যে এলো। ঐ সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দী নীতির প্রয়োগ করেন। যার জেরে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ঐ সময়ে মোট ৫ দিনের মধ্যে আমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে ৭৪৫.৫৯ কোটি টাকা জমা পড়ে। যা এযাবতকালের মধ্যে সর্বাধিক পরিমান । জানা যাচ্ছে এই ব্যাঙ্কটির ডিরেক্টারদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে প্রসঙ্গতঃ ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর নোট বন্দীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরেই তিনি জানিয়েছিলেন ঐ বছর ৩০ ডিসেম্বর অবধি দেশবাসীকে সময় দেওয়া হবে তাঁদের কাছে থাকা বাতিল নোট ব্যাঙ্ক অথবা ডাকঘরে নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে অথবা বদলে নতুন নোটে নিতে হবে। এবং আশ্চর্যজনকভাবেই নোটবন্দীর পাঁচ দিনের দিন ঘোষণা করা হলো অন্যান্য ব্যাঙ্কে সম্ভব হলেও সমবায় ব্যাঙ্কে বাতিল নোট জমা করা যাবে না। কারণ, সরকারের আশঙ্কা এইসব সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সাহায্যে বাতিল নোটে রাখা কালো টাকা সাদা করা হতে পারে। এদিকে গত বছর মার্চ মাস পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, আমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৫,০৫০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এই ব্যাঙ্কের মোট মুনাফা ১৪.৩১ কোটি টাকা। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে গুজরাটে ব্যাঙ্কটির মোট ১২২টি শাখা এবং ২২ লক্ষ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ঐ সময়ে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে বাতিল নোট জমা পড়ার নিরিখে আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের পরেই রয়েছে ঐ রাজ্যের আরো একটি ব্যাঙ্কের নাম। সেটি হলো রাজকোট জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কে মোট ৬৯৩.১৯ কোটি টাকার বাতিল নোট জমা পড়েছিল। রাজকোট জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা জয়েশভাই বিঠ্ঠলভাই রাদাদিয়া। অথচ গুজরাটের রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক যা কি না সমবায় ব্যাঙ্কগুলির শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সেখানে বাতিল নোট জমা পড়েছে মাত্র ১.১১ কোটি টাকা।যা বাকি দুটি জেলার সমবায় ব্যাঙ্কের তুলনায় নগন্য। আপনার মতামত জানান -