প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গে একটি সামান্য পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ হিংসা হয়েছে। মারা গিয়েছেন প্রচুর মানুষ। ইতিমধ্যেই সেই হিংসার রিপোর্ট রাজ্যপালের মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। আর এবার গণনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে রবিশংকর প্রসাদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছে গেল পশ্চিমবঙ্গে।

যেখানে বাংলার যে সমস্ত জায়গায় হিংসা হয়েছে, সেই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন কথা করার কথা রয়েছে বিজেপির এই প্রতিনিধি দলের। শুধু তাই নয়, এই গোটা ঘটনার রিপোর্ট তথ্য হিসেবে দিল্লিতে গিয়ে খুব দ্রুত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও খবর।

প্রসঙ্গত, আজ সকালে রবিশংকর প্রসাদের নেতৃত্বে বিজেপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসে। যেখানে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই তারা রাজ্যে এসেছে। বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। তাই যে সমস্ত মানুষ আক্রান্ত এবং মারা গিয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই ব্যবস্থা। পাশাপাশি বাংলার বর্তমান হিংসার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তুলে দেবে বিজেপির এই টিম বলেও জানিয়েছেন রবিশংকর প্রসাদ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে বাংলা সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যপাল হিংসা সম্পর্কিত তথ্য তার হাতে তুলে দিয়েছেন খবর। অন্যদিকে বিজেপি্য বাংলার নেতৃত্ব দাবি করছে, অবিলম্বে পুলিশকে নিরপেক্ষ করা হোক। এক্ষেত্রে ৩৫৫ ধারা জারি করার প্রয়োজন রয়েছে বাংলায় বলে দাবি জানাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হিংসা সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছেন বলে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির টিমকে পাঠিয়ে বাংলার পরিস্থিতি জেনে নিয়ে খুব দ্রুত পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, বাংলা সম্পর্কে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ যাচ্ছে অমিত শাহের কাছে। তবে তিনি এতদিন ধরে সমস্ত তথ্য জোগাড় করে রাখছিলেন। কিন্তু এবার যে হিংসা শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তাতে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। একটি সামান্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে হিংসা লীলায় মেতে উঠেছে একশ্রেণীর মানুষ, তা মেনে নিতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সমস্ত দিক থেকেই রিপোর্ট সংগ্রহ করে বাংলার জন্য বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।