এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে গুরুং-তামাংয়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কি করবেন মমতা?

পাহাড়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে গুরুং-তামাংয়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কি করবেন মমতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ টালাবাহানার পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং গত পুজোর সময় সমতলে এসে তৃণমূল নেত্রীর সমর্থনে মুখ খোলেন। স্পষ্ট ভাষায় জানান, তিনি চান, বিজেপি নয়, তৃণমূল নেত্রী রাজ্য জয় করুন। প্রসঙ্গত, বিমল গুরুং তার আগে পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়াতেই ছিলেন বলে জানা যায়। 

এই অবস্থায় বিমল গুরুংকে পাহাড়ে যাবার ছাড়পত্র দেয় রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে রাজ্যের তৃণমূল সরকারেরীহেন সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ ছিল পাহাড় নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কোথাও একটা চিন্তা ভাবনায় ভুল রয়ে গিয়েছিল। কারণ গুরুংয়ের অবর্তমানে তৃণমূল শিবির কিন্তু বিনয় তামাংদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল।

যথারীতি একই খাপে দুই তলোয়ার থাকতে পারেনা- একথার সত্যতা প্রমাণ করে দিয়েছে পাহাড়ে বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং এর আলাদা রাজনৈতিক অবস্থান, যা তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি চরমে তুলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের সমস্ত সমীকরণ ব্যর্থ করে দিয়ে পাহাড়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং এর ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 

ভোটের ময়দানে দুই গোষ্ঠী তাঁদের নিজস্ব প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য তিনটি আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে। পাহাড়ে দুই গোষ্ঠী আলাদা আলাদা ভাবে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন।

যথারীতি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্তর্দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে এবার আসরে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তামাং এবং গুরুংয়ের দূরত্ব বাড়ছে। প্রথম থেকেই অবশ্য বিমল গুরুংকে মেনে নিতে পারেননি বিনয় তামাং। যদিও বারংবার দুই পক্ষকেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের ভোটের কথা মাথায় রেখে যেন একসাথে চলে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পাহাড়ে মোর্চা দ্বিখণ্ডিত।

 ফলস্বরূপ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পাহাড় দখলের স্বপ্ন ক্রমশ ধুলিস্যাৎ হচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। প্রসঙ্গত, পাহাড়ে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং এই তিনটি কেন্দ্রে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রার্থী দেয়। কিন্তু এবার কি হবে তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে তৃণমূল শিবিরের অন্দর থেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, দুই গুরুং ও তামাং শিবির নিজেদের মতন করে এই তিনটি আসনের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে নিয়েছে। অন্যদিকে পাহাড়ে মোর্চার অন্দরে যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তার ফায়দা তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। যদিও দেখা গেছে বিমল গুরুং পাহাড়ে ফেরার পর থেকে বিজেপির পক্ষে কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা সংকটজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 প্রথমবার পাহাড়ে প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে কালো পতাকা দেখতে হয়েছে। এমনকি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্যদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পাহাড়ে। কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে আশা জাগাচ্ছে শুধুমাত্র গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্দরে ক্রমশ বেড়ে চলা ফাটল।এদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দ্বিখণ্ডিত হলেও দুই শিবিরই তৃণমূল নেত্রীর ছত্রছায়ায় নির্বাচনে লড়বে বলে জানিয়েছে। 

সবমিলিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট জটিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিধানসভা নির্বাচন শুরু হতে আর বিশেষ দেরি নেই। এই অবস্থায় যদি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্দরে এভাবে ফাটল বাড়তে থাকে, তাহলে কার্যত পাহাড় দখলের আশা ছাড়তে হবে তৃণমূল নেত্রীকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পররযবেক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে এখন দেখার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় নিয়ে নতুন কোনো চিন্তা-ভাবনা করেন কিনা!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!