এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বহিরাগত-ঘরের লোক দ্বন্দ্ব উড়িয়ে বিজেপির নীচুতলা কোমর বেঁধে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে এখন থেকেই আসরে

বহিরাগত-ঘরের লোক দ্বন্দ্ব উড়িয়ে বিজেপির নীচুতলা কোমর বেঁধে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে এখন থেকেই আসরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোনোমতেই যে শাসক শিবিরকে একচুল জায়গা ছাড়া যাবে না, তা ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছু সময় এখনও দেরি আছে। কিন্তু নির্বাচনের যত দেরিই থাকুক না কেন, বিজেপি যে এখন থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

ইতিমধ্যে প্রার্থী ঠিক না হলেও দেওয়াল লিখনের ওপর জোর দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে বিভিন্ন বুথে বুথে দেওয়াল দখল করার কাজ শুরু করতে দেখা গেছে বিজেপি নেতা কর্মীদের। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও, যেভাবে এই বিজেপি দেওয়াল দখলের কাজ শুরু করে দিয়েছে, তাতে এবার লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

একাংশ বলছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অত্যন্ত ভালো ফল করেছিল। সেদিক থেকে এই জেলার ছটি বিধানসভা কেন্দ্রই যাতে বিজেপি দখল করতে পারে, তার জন্য ইতিমধ্যেই তারা তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোন বিধানসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবে, তা ভাবতে রাজি নয় বিজেপির নেতা কর্মীরা। এবার লেখনের মধ্যে দিয়ে মধ্যে দিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে যাতে সমর্থন করেন সাধারণ মানুষ, তার জন্য তুলি ধরতে শুরু করেছে বিজেপি নেতা কর্মীরা।

স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বিজেপির এই অতি সক্রিয়তা যে তৃণমূলের কিছুটা হলেও ঘুম উড়িয়ে দিতে শুরু করেছে, তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একে অপরকে জোর কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। কিন্তু নির্বাচনের তো এখনও বেশ কিছু সময় দেরি আছে! কিন্তু তার আগে দেওয়াল লিখন কেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেওয়াল লিখন করে প্রচারের নির্দেশ আমাদের রাজ্যস্তর থেকে দেওয়া হয়েছে। আর নয় অন্যায় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিটিস্তরে কর্মীদের দেয়াল দখল করে পদ্মফুল আকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ও প্রার্থী ঘোষণা হলে আমরা জেলাজুড়ে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়ব। জেলা স্তর থেকে প্রতিটি বুথে কর্মীদের জন্য রং তুলির ব্যবস্থা করা হয়েছে।” যদিও বা বিজেপির এই উদ্যোগকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজ নিজ কর্মসূচি থাকে। বিজেপি কর্মীরা এখন থেকে লিখতেই পারেন। তবে এখন থেকে দেওয়াল দখল করলেই হবে না। সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুমতি পত্র দেখাতে হয়। আমরা ঠিক সময় আমাদের দেয়াল লেখা শুরু করব। এখনও নির্বাচনের দিন ঠিক হয়নি। প্রচারে এগিয়ে থাকার বিষয় নয়। জেলায় তৃণমূল মানুষের মনে রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের কর্মীরা নিয়মিত এলাকায় জণসংযোগ করছেন। সময়মত আমরা দেওয়াল লিখন করব।”

তবে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি আসনে জয়লাভ করবে বলে গৌতমবাবু জানালেও, তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সব আসন দখল করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে কি হবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কিন্তু তার আগে যেভাবে নির্বাচন ঘোষণার বহু আগে থেকেই রীতিমতো দেয়াল দখল করে প্রচার প্রক্রিয়ায় নেমে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি, তাতে ভোটের প্রচার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় যে শুরু হয়ে গেল, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রচার প্রক্রিয়া থেকে শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের তরজা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!