এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টালিগঞ্জকে বাঁচাতে আত্মপ্রকাশ বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের, শুরুতেই শঙ্কুর বিস্ফোরক অভিযোগের ঝড়

টালিগঞ্জকে বাঁচাতে আত্মপ্রকাশ বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের, শুরুতেই শঙ্কুর বিস্ফোরক অভিযোগের ঝড়


বাংলার সিনেমা ও টেলিভিশন শিল্পের প্রাণভোমরা হল টালিগঞ্জ – আর টালিগঞ্জের এই বিনোদন ইন্ড্রাস্ট্রিকে ঘিরে এতদিন বিভিন্ন অভিযোগ। কিন্তু, এই ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত কলাকূশলী ও টেকনিশিয়ানরা সেইসব অভিযোগ নিয়ে এতদিন প্রকাশ্যে মুখ খুলতে কার্যত ভয় পেতেন। কেননা, শাসকদল ঘনিষ্ঠ দুই প্রভাবশালী ভাই ও কয়েকজন প্রযোজকের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া টলিউডে গাছের একটি পাতাও নাকি নড়তে পারত না।

আর তাই দিনের পর দিন বঞ্চিত হয়ে, রাগে গুমরে মরলেও – এই নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। এঁদের একাংশের অভিযোগ ছিল মুখ খুললে কাজ হারানোর ভয় তো ছিলই, সঙ্গে ছিল প্রানভয়। আর তাই টলিউডে কলাকূশলী ও টেকনিশিয়ানদের স্বার্থরক্ষার্থে এবার আত্মপ্রকাশ করল বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। এই সংগঠনের শীর্ষে রয়েছেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত, শঙ্কুদেব পণ্ডা, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর মত হেভিওয়েট নেতা।

আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে অতীত দিনের বিখ্যাত নায়ক তথা বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি প্রভাবিত সংগঠন বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। আত্মপ্রকাশের পরেই প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বসে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে পুরো টলিউডকেই কার্যত কাঁপিয়ে দিয়েছেন বিজেপির যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তিনি প্রথমেই সুস্পষ্টভাবে অভিযোগ আনেন শাসকদলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রযোজক রানা সরকারের বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শঙ্কুদেব পণ্ডা অভিযোগ করেন, তাঁর প্রযোজনায় কাজ করা একাধিক কলাকূশলী ও টেকনিশিয়ান নিজেদের প্রাপ্য বকেয়া পান নি। আর যেহেতু তিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, তাই এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে তাঁকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করা হচ্ছে। শঙ্কুদেব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি এইসব বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে সেইসব কর্মীদের নিয়ে বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের তরফ থেকে অনশন, ধর্ণা বা মাটিতে ভাত খেয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে।

এর সঙ্গেই শঙ্কুদেব ‘ফাঁস’ করেন টালিগঞ্জের একাধিক সিন্ডিকেট রহস্য! তিনি জানান, বাংলায় কোনো নতুন চ্যানেল লঞ্চ করলে এখানকার তিন-চারজন প্রযোজক মুম্বইতে গিয়ে বৈঠক করেন, সেই চ্যানেলের প্রাইম টাইমের প্রোগ্রাম কে পাবেন, বা সেইসব প্রোগ্রামের কলাকূশলী কারা হবেন! এখানেই শেষ নয়, শঙ্কুদেব আরও জানান, কোনো প্রযোজক কোনো অনুষ্ঠানের প্রযোজনা শুরু করার পর সেই অনুষ্ঠান যখন জনপ্রিয় হয়ে যায়, তখন বিভিন্ন ‘ডিস্টার্বেন্স ক্রিয়েট করে’ সেই প্রযোজককে সেই অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে দিয়ে এক নির্দিষ্ট ‘এজেন্সি’ সেই অনুষ্ঠানটি ‘দখল’ করে নেয়!

এরপরেই শঙ্কুদেব জানান, এইসব সিন্ডিকেট রাজ টালিগঞ্জে অবিলম্বে বন্ধ না হলে এবং কলাকূশলী ও টেকনিশিয়ানদের বকেয়া মেটানো না হলে, তিনি বাংলায় যে সমস্ত চ্যানেল রয়েছে সেইসব চ্যানেলের হেড কোয়ার্টার দিল্লি বা মুম্বইতে এক প্রতিনিধিদল নিয়ে গিয়ে এখানকার সব ফাঁস করে দেবেন। শুধু তাই নয়, টালিগঞ্জে সৎপথে কাজ করে সংসার চালানো কাউকে অন্যায়ভাবে আটকানো হলে, যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত তাঁরা ভবিষ্যতে ভারতের বাইরে গিয়ে কিভাবে শুটিং করতে পারে তা তিনি দেখে নেবেন! সবমিলিয়ে বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ আত্মপ্রকাশের পরেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ‘মৌচাকে’ ঢিল মেরে গোটা টালিগঞ্জকেই কাঁপিয়ে দিল বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের।

https://www.youtube.com/watch?v=CZIP0pyd0BA

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!