এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার এই ইস্যুতে বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিল তৃণমূল, জেনে নিন!

এবার এই ইস্যুতে বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিল তৃণমূল, জেনে নিন!

প্রায় প্রতিটা ইস্যুতেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বর্তমানে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। আর তার আগে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর, তা নিয়ে বিরোধীরা ব্যাপক আপত্তি জানাবে বলে মনে করেছিল একাংশ। এমনকি আপত্তি জানানোর দিক থেকে একদম শীর্ষে থাকবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলেও দাবি করেছিল বিশেষজ্ঞরা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে তেমনভাবে কোনো অভিযোগ জানাতেই দেখা গেল না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে।

সেদিক থেকে তৃণমূলের তরফেই বেশিরভাগ অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। যা নিয়ে এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। জানা গেছে, কলকাতা পৌরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের দাবি এবং আপত্তি মিলিয়ে মোট 22 টি আবেদন জমা পড়েছিল। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই আবেদন জমা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তা দলগতভাবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী এই ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানান। সেদিক থেকে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা সিপিএমের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি মাত্র অভিযোগ জমা পড়েছে। আর প্রায় সব ইস্যুতেই বিরোধী দল বিজেপি সরব হওয়া সত্তেও কেন ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে তাদের একটি অভিযোগও জমা পড়ল না! এখন তা নিয়েই নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সকলের আপত্তি শোনার পর আজ সোমবার ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির তরফে ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তি না জানানোর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। কেননা বিজেপির বর্তমানে তেমনভাবে কোনো কাউন্সিলার নেই। তাই সেদিক থেকে যারা বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে, তারা একদমই নতুন। তাই আগেভাগে কোনো ওয়ার্ড তাদের দখলে না থাকায়, তাদের তেমন ভাবে কোনো অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে বিজেপির তরফ থেকে এই সংরক্ষন নিয়ে আপত্তি জানানো হয়নি বলেই দাবি একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা বলেন, “আমরা আসন জিতলেও সবটা ধরে রাখা যাবে না।

কারণ তৃণমূল যেভাবেই হোক, তাদের দলে টানবে। এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ কি! এখন শুধু মাঠে থাকার লড়াই। সেটাই আমরা করব।” অনেকে বলছেন, ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে পৌরসভা নির্বাচনে তারা কাউকে মুখ করে লড়বে না। আর এবার ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল ভুরি ভুরি অভিযোগ জানালেও, বিজেপি তেমন কোনো অভিযোগ না জানিয়ে একদিকে যেমন প্রমাণ করে দিল যে, তাদের কাছে ওয়ার্ড সংরক্ষণ কোনো ফ্যাক্টর নয়, ঠিক তেমনই এখন শুধুমাত্র লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়াটাই তাদের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে তৃণমূল সবথেকে বেশি ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানানোয় যথেষ্ট যুক্তি আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। কেননা বেশকিছু ওয়ার্ডে তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলর ওয়ার্ড সংরক্ষণের ফলে দাঁড়াতে পারবেন না। যার মধ্যে রয়েছেন অনেক চেয়ারম্যান, এমনকি ভাইস চেয়ারম্যানরাও। তাই সেদিক থেকে তৃণমূল চাইছে, সংরক্ষণের ব্যাপারে আপত্তি তুলে সেই ওয়ার্ডগুলোতে যাতে বর্তমান কাউন্সিলরদেরই দাঁড় করানো যায়। আর তাই তাদের এই 22 টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে মনে করছে একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূলের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত তালিকায় কি আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!