এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বন্যা ত্রাণ দিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ তৃণমূল বিধায়কের, অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে

বন্যা ত্রাণ দিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ তৃণমূল বিধায়কের, অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মালদহ জেলার রতুয়া ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় প্লাবিত। প্রবল বর্ষণের ফলে মহানন্দা টোলা, বিলাইমারির মতো বহু এলাকা কার্যত জলের তলায় চলে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ত্রাণশিবিরে। প্রবল বর্ষণের ফলে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জলস্তর ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারী ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে এবার প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। ঘটনায় তীব্র অস্বস্তি বাড়ছে শাসক শিবিরে।

এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করেছে। পঞ্চায়েত অফিস, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যন্ত জল ঢুকে পড়েছে। এটিই হলো এলাকার সবচেয়ে উঁচু এলাকা। তাই বাদবাকি এলাকার অবস্থা সহজেই অনুমেয়। বহু মানুষ ঘর ছেড়ে সরকারি ত্রাণ শিবিরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন যে, চারদিক থেকে জল ঢুকছে। কিন্তু এখনও তারা ত্রিপল পাননি। তাদের বাড়িতে জল এসে পড়েছে। তারা এবার কোথায় যাবেন? কি করবেন? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

সরকারের ত্রাণ নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান লুৎফর রহমান জানালেন যে, এই গ্রামে প্রচুর মানুষ বাস করে থাকেন। কিন্তু ত্রাণ সামান্যই এসেছে তাদের হাতে। ত্রাণের জন্য অনেক মানুষ ঘোরাফেরা করছেন। বিডিওর কাছে সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি আর্জি জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর, এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, প্রশাসনের ভূমিকা তিনি ভাল ভাবে দেখছেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে যে, এমন বন্যা তো কতই হয়ে থাকে। এতে তিনি খুব লজ্জিত ও দুঃখিত। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তিনি।

তিনি আরও জানালেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একটা খুন হলে বলতেন, এরকম তো অনেকই হয়। মহানন্দা টোলা, বিলাইমারিতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোথাও শুকনো জায়গা নেই। এখন জ্যোতি বসুর ভাষায় প্রশাসনকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, এমন বন্যা তো অনেকই হয়ে থাকে।

এভাবে সরকারি ত্রানে প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে কোন বিরোধী দল নয়, খোদ অভিযোগ করেছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে। এ প্রসঙ্গে মালদা জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল জানালেন যে, জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিধায়ক নিজের পিঠ বাঁচাতে প্রশাসনের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!