এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন বড়সড় যোগদান তৃণমূলে, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির !

গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন বড়সড় যোগদান তৃণমূলে, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির !

2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলের জেলাগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাওবাদী উপদ্রব কমিয়ে, সেখানকার মানুষদের মুখে অন্নের যোগান সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে মা-মাটি-মানুষের সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রয়োগ করা হলেও, জেলার তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি এবং ভাবমূর্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর জনতা জনার্দনের এই প্রশ্নের প্রভাব সরাসরি পড়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে।

যেখানে দেখা গিয়েছে, জঙ্গলমহলের এলাকাগুলোতে বেশিরভাগ লোকসভা কেন্দ্রেই জয়যুক্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিকে পরিস্থিতিকে নিজেদের বাগে আনতে নানা সাংগঠনিক পরিবর্তন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলায় গিয়ে জনসভা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার সেই বাঁকুড়ায় বিজেপির অস্বস্তিকে বৃদ্ধি করে শক্তিশালী হল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে বাঁকুড়ার পুরন্দরপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন দুই পঞ্চায়েত সদস্য, বুথ সভাপতি সহ প্রায় 400 জন নেতাকর্মী।

আর লোকসভায় বিজেপি বাকুড়ায় সাফল্য পেলেও এদিন প্রচুর নেতাকর্মীর তৃণমূলে যোগদান ভোটের আগে তৃণমূলকে অনেকটাই শক্তিশালী করল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। জানা যায়, এদিন নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাদের তৃণমূলের স্বাগত জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল এবং তৃণমূল বিধায়ক শম্পা দরিপা। কিন্তু হঠাৎ তারা কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে দলবদলকারী বিজয় বাউরি এবং মমতা সিংহ বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু বিজেপির কাজ করার ইচ্ছে বা পরিকাঠামো কোনোটাই নেই। তাই মানুষের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন প্রচুর বিজেপি কর্মীকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যে কাজ করেছেন, তা আর কেউ করতে পারবে না। আমাদের দলের কিছু কর্মীর ব্যবহারের জন্য মানুষ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সমস্ত নেতাদের বলছি, আপনারা কোনো ভুল করলে মানুষের কাছে গিয়ে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে মানুষের কাছে ক্ষমা চান। তাহলেই দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেসকে কেউ হারাতে পারবে না। কারণ মানুষ বুঝতে পারছে, বিজেপির কথায় তারা ভুল বুঝে হাত মিলিয়ে ভুল করেছেন। তাই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তারা আবার তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন ব্লক থেকে আরও মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন।”

তবে প্রচুর কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “যারা যোগ দিয়েছে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে। তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল হিসেবে লড়াই করেছিলেন। ওরা তৃণমূল কংগ্রেসেরই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী।” তবে বিবেকানন্দবাবু যে কথাই বলুক না কেন, যদি তার এই কথা সত্যি হিসেবেও ধরে নেওয়া হয়, তাহলে কেন তৃণমূল থেকে একসময় বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের তারা নিজেদের দলে ধরে রাখতে পারলেন না! কেন ধীরে ধীরে লোকসভা নির্বাচন থেকে খারাপ পরিস্থিতি হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সব মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!