প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বেশকিছু তৃণমূল কর্মীর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার জন তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। এরপর আজ আবার শীতলকুচিতে চললো গুলি। গুলিতে প্রাণ হারালেন জনৈক বিজেপি সমর্থক।

নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। আজ সকালে শীতলকুচির বুড়াপঞ্চার হাট এলাকায় গুলিতে আহত হন মানিক মৈত্র নামে জনৈক বিজেপি কর্মী। গুলি লাগার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকার সংঘর্ষ এখনো পর্যন্ত চলছে।

নিহত মানিক মৈত্রের বাড়ি বুড়াপঞ্চার হাট অঞ্চলের অন্তর্গত শালবাড়ি এলাকায়। তাঁর কাকা জানান, বুড়াপঞ্চার হাট এলাকায় গন্ডগোল চলছিল। সেখানে বাড়িঘর ভাঙচুর চলছিল। এই এলাকায় গিয়েছিলেন মানিক মৈত্র। ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ তাঁকে গুলি করেছে। কে তাকে গুলি করেছে? তা এখনো জানা যায়নি।

অন্যদিকে গতকাল রাতে কাকুরগাছিতে এক বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশের সামনেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিজিৎ সরকারকে। তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা স্বপন সমাদ্দার ও পরেশ পালের লোকজন পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়ে তাঁর ভাইয়ের উপরে আক্রমণ চালায়।

আবার, গতকাল রাতে সোনারপুরে হারান অধিকারী নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোনারপুর দক্ষিণ এলাকায় বোমাবাজি, বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া, বিজেপি কর্মীদের মারধর, এমনকি মহিলাদের পর্যন্ত মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।