প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জমি কেনাবেচার মামলা থেকে রেহাই পেলেন লালু প্রসাদ যাদব। বেশ কয়েক বছর ধরে জমি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। কয়েক বছর ধরে তিনি জেল খেটেছিলেন। অবশেষে মামলা থেকে রেহাই পেলেন লালু প্রসাদ যাদব। লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে স্ট্যাম্প পেপার জালিয়াতি, সন্দেহজনক লেনদেন, জলের দরে জমি কেনা সহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ ছিল। কিন্তু উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে না থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হল সিবিআইকে। মামলা থেকে মুক্ত হলেন লালু প্রসাদ যাদব।

লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাজারদরের থেকে অনেক কম দাম দিয়ে বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন তিনি। জানা যায়, বাজার দরের চেয়ে অত্যন্ত কম দাম দিয়ে দিল্লিতে জমি কিনেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। এই জমি কিনেছিলেন তিনি গত ২০০৭ সালে। সে সময় দিল্লিতে এই জমির দাম ছিল ছিল ৩০ কোটি টাকা, এই জমি তিনি কিনেছিলেন মাত্র ৫ কোটি টাকায়। জানা যায়,এবি এক্সপোর্টস নামে এক শেল্ সংস্থা, ডিএলএফ তাঁকে এই জমি হস্তগত করতে যথেষ্ট সহায়তা করেছিল।

শুধু দিল্লীতেই নয়, মুম্বাইতেও জমি কেনা, জমি লিজ নেওয়া আবার দিল্লির রেলস্টেশনের কিছু প্রকল্প অন্যায় ভাবে লালু প্রসাদ যাদব নিজের হাতে নিয়েছেন বলেও, অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল সিবিআই । এরপর জমি কেলেঙ্কারিতে লালুপ্রসাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের জড়িত থাকা দুই ব্যক্তি প্রবীণ জৈন, অমিত কাটিয়ালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা যায়, এদের সঙ্গে ব্যাপক আর্থিক লেনদেন করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই। লালুপ্রসাদের নামে একাধিক অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেলেন লালু প্রসাদ যাদব।