এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাজেট শুরু হতেই হুমকি মমতার! ধ্বংস হলো গণতন্ত্র, সোচ্চার বিজেপি!

বাজেট শুরু হতেই হুমকি মমতার! ধ্বংস হলো গণতন্ত্র, সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কি ভাবেন বলুন তো! বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি ভাবছেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। তিনি যা করবেন, সেটাই যেন আইনে পরিণত হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গকে তো তিনি আলাদা দেশ ভাবতে শুরু করেছেন। যার জন্য এখানে প্রতিমুহূর্তে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে মানুষের কণ্ঠরোধ করছে দলদাস পুলিশ। তবে আজ রাজ্য বাজেট শুরু হতেই বিরোধীরা যখন নিজেদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করলো, ঠিক তখনই একেবারে হুমকি দিয়ে বসলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন মুখ্যমন্ত্রী বাজেট অধিবেশনের সময় কোথায় তার সহনশীল হওয়া উচিত, কিন্তু তা না করে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এ কোন হুমকি দিলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? অনেকে বলছেন, বাজেট অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার হয়। তাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে শুরু করে কথাবার্তা রাজ্যের মানুষ প্রত্যক্ষ করলো। সত্যিই শুভেন্দু অধিকারী যা বলেন, সেটাই ঠিক। ভয়ংকর ভাবে গণতন্ত্রকে এই বিধানসভার ভেতরে ধ্বংস করেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যেটা আজকেও তিনি করলেন বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি এমন বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

প্রসঙ্গত, আজ রাজ্য বাজেট পেশ হয় বিধানসভায়। আর সেখানেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সেই বাজেটের কিছু বিষয় পড়তেই তা নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে বিরোধীরা। স্বাভাবিক বিষয়। বিরোধীরা তাদের গঠনমূলক বিরোধীতা এবং তাদের আপত্তির বিষয় জানাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাও সহ্য হয় না এই সরকারের। তাই সাথে সাথেই নিজের বেঞ্চ থেকে উঠে হুমকির কায়দায় বিরোধী দলকে শাসানি দিতে শুরু করেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিযোগ। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “আপনারা আমাদের বাজেট পড়তে দিন। তা না হলে আমরা লোকসভায় বাজেট পড়তে দেব না।”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি এই ধরনের শাসানী দিতে পারেন? আর লোকসভায় তার দলের কত সদস্য সংখ্যা আছে যে, তিনি বাজেট পড়তে দেবেন না!, যে ইন্ডি জোট তৈরি করেছিলেন, সেই ইন্ডির পিন্ডি চটকে গিয়েছে। সেই জোটের মধ্যে তাকে তো কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে তিনি নিজের ওই 20-22 জন সাংসদকে নিয়ে লোকসভায় যদি বিশৃঙ্খলা করতে যান, তাহলে সেখানকার কড়া আইন কি করে শাস্তি দিতে হয়, সেটা খুব ভালো করে জানে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে না কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন উগ্র আচরণ এবং শাসানী মোটেই কাম্য নয় বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, যখন লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের এভাবে শাসানি এবং হুমকি দিচ্ছেন। তাহলে প্রত্যেক দিন রাজ্য বিধানসভায় কি পরিমানে বিরোধীদের ওপর অত্যাচার চলে, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। এই রাজ্য সরকার কথা শোনার মত ধৈর্যটুকু রাখে না। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী আজকে প্রকাশ্যে বিরোধীদের হুমকি দিলেন। তিনি নাকি লোকসভায় বলতে দেবেন না! কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মত লোকসভায় গণতন্ত্র ধ্বংস হয় না। সেখানে বিরোধীদের বলার অধিকার থাকে। যেটা বাংলায় নেই বলেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা সোচ্চার হয়েছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভায় তো তার দলের সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অনেক শব্দ প্রয়োগ করেন। এমনকি তিনি নিজেও তো প্রকাশ্য সভা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু তারপরেও ধৈর্য সহকারে সংসদের ভেতর নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু বিরোধীদের গঠনগত বিরোধীতাকে সহ্য করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সেটা করতে পারছেন না! কেন শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের চুপ করে থাকার কথা বলছেন! তাহলে কি বাংলার মানুষের কাছ থেকে সমর্থন চলে যাচ্ছে, এটা তিনি বুঝতে পেরেছেন? সামনে লোকসভা, তাই ধৈর্য ধরে রাখতে পারছেন না। হারার আতঙ্ক গ্রাস করছে প্রতিমুহূর্তে। তাই কি এখন বিরোধীরা সমবেত প্রতিবাদ করতে একেবারে দাম্ভিক মুখ্যমন্ত্রীর স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ্যে চলে এলো! দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!