এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > উপনির্বাচনে তৃণমূল বহিরাগত আনলে তারা কিভাবে ফিরবে, ফিরে যাবে কিনা, আমরা ঠিক করব: দিলীপ ঘোষ

উপনির্বাচনে তৃণমূল বহিরাগত আনলে তারা কিভাবে ফিরবে, ফিরে যাবে কিনা, আমরা ঠিক করব: দিলীপ ঘোষ


 

অতীতে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহিরাগত দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তাদের। তবে সেই বহিরাগতদের আটকাতে বিরোধীদের তরফে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

কিন্তু এবার বঙ্গের তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই বহিরাগতদের দাপাদাপি আটকাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বস্তুত, আগামী 25 নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর এবং করিমপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার পর্ব। তবে প্রথম থেকেই বিজেপির প্রার্থী নিয়ে দলীয়স্তরে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।

দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র বলে পরিচিত খড়গপুরে এবার বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে প্রেমচাঁদ ঝাকে। তবে দলের প্রার্থীকে তারা মানবেন না বলে ইতিমধ্যেই খড়্গপুরে বিজেপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি একাংশের। আর এই পরিস্থিতিতে দলীয় অসন্তোষকে সামাল দিয়ে নির্বাচনে যাতে সকলে একসাথে নামতে পারেন, তার জন্য সেই খড়্গপুরে আসলেন এখানকার ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

জানা গেছে, শনিবার রাতে দীলিপবাবু খড়্গপুরে আসলে সেদিনই নিজের বাংলোতে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। যদিও বা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাকে। আর এই বৈঠক থেকেই দলের যে প্রার্থী হয়েছে, তাকে সকলকেই মানতে হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে দলের সাংগঠনিক হাল-হকিকত ঠিক করার পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধেও কড়া হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল যদি বাইরে থেকে লোক আনে, তবে তারা ফিরে যাবে কিনা বা কিভাবে ফিরে যাবে, সেটা আমরা ঠিক করব। আমরা শুনেছি তৃনমূল বাইরে থেকে লোক এনে ভয় দেখিয়ে ভোট নিতে চাইবে। কারণ সাধারণের ভোটে জিততে পারবে না। কিন্তু ওরা যদি মনে করে, বিজেপি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে, তাহলে ভুল করবে। খড়্গপুরে আমরা শক্তিশালী। ওরা আসতে পারে, কিন্তু কিছু করতে পারবে না।”

এদিকে বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করালে তারা ছেড়ে দেবেন না বলে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করলে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চাঞ্চল্য। এদিন এই ব্যাপারে পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আক্রমণ করে বসেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি।

তিনি বলেন, “দীলিপবাবু কি বলছেন জানি না। তবে বাইরে থেকে আরএসএসের যে লোকেদের ওরা শহরে এনে রেখেছে, আগে আমরা তাদের বাইরে বের করি, তারপর দীলিপবাবুকে বুঝে নেব। খড়্গপুরের মানুষ ওনার দলকে ভোট দেবে না বুঝেই তিনি এসব মন্তব্য করছেন। কোনো লাভ হবে না। বাসিন্দারা এবার আমাদেরকেই সমর্থন করবেন।”

আর দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা অজিত মাইতির এই মন্তব্য ঘিরেই এখন রাজনৈতিক মহলের উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনে হার জিত থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে একে-অপরকে বুঝে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, তা কি গণতন্ত্রে শোভনীয়! সব মিলিয়ে শীতের মরসুমে রাজনৈতিক গরমের পারদ চড়তে শুরু করেছে খড়গপুর বিধানসভা জুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!