এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করিমপুর তুমি কার? ৩ শিবিরের ভোট স্ট্র্যাটেজি ও প্রচার কৌশলে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ

করিমপুর তুমি কার? ৩ শিবিরের ভোট স্ট্র্যাটেজি ও প্রচার কৌশলে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ

 

করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সাজে সাজে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোর অন্দরে। সামনে নির্বাচন গ্রহণের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই প্রার্থীদের মধ্যে নিজের নিজের শেষ মুহূর্তের প্রচার লক্ষ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস-সিপিএম জোট প্রার্থী থেকে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রার্থীদের প্রচার চোখে পড়ার মত।

সকালবেলার প্রাতঃভ্রমণকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেক দিনই কোনো না কোনো দল নিজেদের জনসংযোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। আবার কোথাও কোথাও বা ছোট ছোট খুলি বৈঠকের মধ্যে দিয়ে মানুষের মধ্যে নিজেদের দলীয় চিন্তাধারা এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছেন প্রার্থীরা।

গত বুধবার দিন সকাল সকাল স্থানীয় বাজারে জনসংযোগ মনোযোগী হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়। প্রচারে গিয়ে তিনি বাজাররত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা বলেন। আবার একই দিনে যে সমস্ত জনসাধারণ সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রার্থী। এদিন জনতার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “দীর্ঘ 39 বছর ধরে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে সিপিএম বিধায়করা প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এরমধ্যে দীর্ঘদিন রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার ছিল। অথচ করিমপুরের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। পরে আপনারা মহুয়া মৈত্রকে জিতে নিয়ে বিধায়িকা করেছিলেন। তারপর করিমপুরের প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। তাই এবার করিমপুরে তৃণমূল থাকলে উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। করিমপুরের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারি, সেজন্য আমাকে আশীর্বাদ করুন।”

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় এদিন তার প্রচার পর্বে গোপাল পাড়া দুর্গা মন্দির থেকে শুরু করে তারপরে 1 নম্বর করিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাথান পাড়া চৌধুরীপাড়া, সোনাপাড়া, অভয়পুর, ফেরিঘাট, থানা মোড় এবং বিভিন্ন এলাকায় এদিন উপনির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তার সঙ্গেই প্রচার অভিযানে যোগ দেন কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে করিমপুর 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তরুণ সাহা এবং প্রচুর পরিমাণে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। প্রচারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিচয় করিয়ে দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ স্থানীয় মানুষদেরকে বলেন, “আমি আপনাদের ঘরের ছেলে। আমাকে আশীর্বাদ করুন। আমি আপনাদের পাশে থেকে উন্নয়ন করব। সব সময় আমাকে পাশে পাবে।” আবার প্রচারপর্বে সিপিএম- কংগ্রেসের জোট প্রার্থী গোলাম রাব্বিও সকালবেলা থেকে বাম কংগ্রেস প্রার্থী এলাকায় নতিডাংগাতে পদব্রজে মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় পাশাপাশি ভোটের প্রচার করেন।

এরপর তিনি মধুগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জামশেদপুর গ্রাম এবং 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেন। এদিনের প্রচারে ছোট ছোট বুথ ভিত্তিক সভা করেন কংগ্রেস-সিপিএম জোট প্রার্থী গোলাম রাব্বি। তিনি বলেন, “করিমপুরের মানুষ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। তারা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দেখেছে। তারা বুঝেছে, মানুষের কথা একমাত্র বামপন্থীরাই বলে।”

আবার করিমপুর উপনির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলী পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে। বুধবার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আগে 261 টি বুথের প্রায় 25 টি বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। তারপর প্রচার শুরু করব। হাতে আর 18 দিন বাকি থাকবে। এই দিনগুলোতে প্রচার করা হবে।” সবকিছু মিলিয়ে কারও রণকৌশল, কারও মাঠে ময়দানে নেমে প্রচার, কারও পাল্টা প্রচার সিপিএম, তৃণমূল, ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিমুখী লড়াইয়ের রীতিমতো জমে উঠেছে করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!