এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রার্থী ঘোষণা হতেই বিজেপির অন্দরে ডামাডোল, রাজনৈতিক মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন

প্রার্থী ঘোষণা হতেই বিজেপির অন্দরে ডামাডোল, রাজনৈতিক মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন


 

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে একত্রিত হয়ে মাঠে নেমেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। ছোট, বড়, মেজো সব নেতারাই শাসকের বিরুদ্ধে সরব হয়ে 18 টি আসন নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর বিজেপির তরফ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, এবার তাদের টার্গেট 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। যেখানে বাংলার ক্ষমতা দখল করবে তাঁরা।

কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে যতটা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছিল বিজেপি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি ভেতরে সেই ঐক্যের অভাব লক্ষ্য করা গেল। যার ফলে তৃণমূলের তরীর অনেকটাই উত্থান হতে পারে বলে দাবি করতে শুরু করল রাজনৈতিক মহল।

বস্তুত, আগামী 25 নভেম্বর করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও কিছুটা দেরি করেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি।

যেখানে খড়্গপুরে প্রেমচাঁদ ঝা, করিমপুরের জয়প্রকাশ মজুমদার এবং কালিয়াগঞ্জে কমল সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় দলে ফাটল দেখা দিতে শুরু করল। যা নিঃসন্দেহে উপনির্বাচনের আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রেমচাঁদবাবু প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপির দীর্ঘদিনের নেতা নবীন পট্টনায়ক নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যা প্রবল চিন্তা বাড়াচ্ছে সেখানকার বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে।

অপরদিকে করিমপুরের জয়প্রকাশ মজুমদার প্রার্থী হলেও সম্প্রতি সেখানকার তিনশো বিজেপির নেতা কর্মী তৃণমূলে যোগদান ভালো মত নিচ্ছে না বিজেপির একাংশ। জানা যায়, এদিন করিমপুরের ভূতপূর্ব তৃণমূল বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর হাত ধরে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক সহ প্রায় 300 জন নেতা-কর্মী তৃণমূলে নাম লেখান। আর এর ফলেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি বিজেপিতেও তৃণমূলের মত গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হল!

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খড়গপুরে প্রেমচাঁদবাবুর পাশাপাশি করিমপুরে জয়প্রকাশবাবুকে নিয়েও হয়ত বা বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। আর তাইতো প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরদিনই বিপুল বিজেপি সমর্থকের তৃণমূলে যোগদান। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, যদি এইভাবেই বিজেপিতে ভাঙ্গন লক্ষ্য করা যায়, তাহলে কিভাবে তারা 2021 এর নির্বাচনী বৈতরণী পার করবে!

উপনির্বাচনেই যদি বিজেপি এত গোষ্ঠীকোন্দলে ভুগতে শুরু করে, তাহলে তাদের জয় কিভাবে আসবে! অনেকে বলছেন, উপনির্বাচনে যদি এটা চলতে থাকে, যদি দলবদল না করেও বিজেপিতে থেকেও অনেকে ভোটবাক্সে অন্য দলকে সমর্থন করেন, তাহলে বিজেপির জয়লাভ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।

তাই রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন,যাদের নিয়ে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ তাদেরকেই কেন প্রার্থী করা হলো? তাহলে কি বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভিত এতটাই নড়বড়ে যে তাঁরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের এই অসন্তোষের কথা জানতেন না। আর যদি তা না হয় তবেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তাহলে জেনে বুঝে কেন তাদেরকে প্রার্থী করা হলো ?তবে কি বঙ্গ বিজেপিতে দল নয় ব্যাক্তি আগে। যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই।এখন দেখার এই অসন্তোষ কাটিয়ে কিভাবে তিনটি বিধানসভা আসন নিজেদের দখলে রাখে গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!