রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে বঙ্গ বিজেপি রাজ্য March 13, 2018 এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানলেন কি কারণে তিনি এসেছিলেন রাজ্যপালের দরবারে।রাজ্যে শাসকদের নেতানেত্রীদের সভার ভাষণে প্রায়ই সোনা যাচ্ছে যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট বিরোধী শুন্য হবে ,মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হবে না এইসব বিষয় নিয়েই অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বলে জানালেন দিলীপবাবু। এদিন তিনি বলেন যে ,“মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত করতে হবে। তার মানে রাজ্যের শাসকদল বিরোধীদের নির্বাচনে দাঁড়াতে দেবে না। তাদের মনোনয়ন জমা বা ভোট করতে দেবে না। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি রাজ্যপালের কাছে এসেছি। তাঁকে বলেছি, আপনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অভিভাবক। তাই আপনার বলার অধিকার আছে। যাতে মনোনয়ন ঠিকভাবে জমা হতে পারে। তার সঙ্গে যাদের মনোনয়ন জমা করতে অসুবিধা হবে, তাঁরা যেন SDO অফিসে মনোনয়ন জমা করতে পারেন। তার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করুক। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।সাথে তিনি আরো জানালেন যে রাজ্যপাল হলেন সাংবিধানিক প্রধান তাই বিষয়টি তাঁকে দেখার অনুরোধ জানিয়েছি। দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যাতে তিনি কথা বলেন তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি শুদ্ধিকরণ নিয়ে রাজ্যে যে অশান্তি তৈরী হয়েছে তা নিয়েই বলেন।ফের একবার অভিযোগ করেন যে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের হাতে বিজেপি -র নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে । এদিন দিলীপবাবু বলেন, “কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙার পর তাঁর মূর্তিতে দুধ ঢালা ও মালা দেওয়া নিয়ে একটা কর্মসূচি নিয়েছিলাম। এটা একটি সাধারণ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু, সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় তৃণমূল কর্মীরা পুলিশের সামনেই আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যদি আইনকানুনের এই অবস্থা হয় তাহলে সারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী তা নিশ্চয় বুঝে পারছেন। শুধু তাই নয়, এরপর জেলাগুলিতেও এই কর্মসূচি রূপায়ণ করতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। শ্রীরামপুরে তো আমাদের হুগলি জেলার সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। রাজ্যে যে কোনও আইনের শাসন নেই এই ঘটনাগুলি থেকেই স্পষ্ট। এই বিষয়ে রাজ্যপালকে অভিযোগও জানিয়েছি।” আপনার মতামত জানান -