এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনে ঘাসফুল ফোটাতে আসরে টিম পিকে, “ব্যতিব্যস্ত” তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা?

উপনির্বাচনে ঘাসফুল ফোটাতে আসরে টিম পিকে, “ব্যতিব্যস্ত” তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা?

 

লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলকে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যে কর্মসূচির মূল প্ল্যানিং ছিল ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরের বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

কেননা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল 22 টি আসন পাওয়ার পরই রাজ্যজুড়ে বিজেপির ঝড় রোখবার জন্য দলের রণনীতিকার হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই একাধিক জণসংযোগ কর্মসূচি নিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই এবার প্রথম তাকে নির্বাচন ফেস করতে হচ্ছে। যেখানে তৃণমূলের প্রার্থীদের জেতানোর পেছনে এই প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা সর্বাগ্রে রয়েছে বলে মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই খড়গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল যে সমস্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তারা দলে অত্যন্ত পুরনো মুখ এবং গ্রহণযোগ্য। আর এই সুকৌশলী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে টিম পিকের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি একাংশের। তবে শুধু প্রার্থী ঘোষণা নয়, এবার তৃণমূলের প্রার্থীদের জেতাতে বিধানসভায় মাঠে নামতে শুরু করল প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা বলে খবর।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই করিমপুর বিধানসভায় পিকের টিমের 8 জন সদস্য পৌঁছে গিয়েছে। তারা প্রতি মুহূর্তে ব্লক নেতৃত্ব থেকে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলার তৃণমূল নেতা বলেন, “পিকের টিমের তরফে ব্লক সভাপতি থেকে আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। টিমের লোকজন কিছু পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। আশা করা যায়, আগামী দিনে আরও কিছু পরামর্শ পাওয়া যাবে। তাতে ভোটে ভালো প্রভাব পড়বে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এতদিন তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তিনি জিতে সাংসদ হওয়ার পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। যেখানে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে শিক্ষিত বলে পরিচিত দলের দুর্দিনের কর্মী বিমলেন্দু সিংহ রাযকে। আর এই দলের প্রার্থী নিয়ে প্রায় সকলেই খুশি। যার পেছনে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে তার সমর্থনে ময়দানে নেমে পড়েছেন মহুয়া মৈত্র এবং গোটা তৃণমূল বাহিনী। আর এই পরিস্থিতিতে এবার করিমপুর বিধানসভায় ঘাঁটি গেড়ে তৃণমূলের প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর জন্য দলের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের কাছে পরামর্শ দেওয়া এবং গোটা ব্যাপারটি বুঝে নিতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা। যা দলকে অনেকটাই লাভবান করবে বলে দাবি জেলা নেতৃত্বের।

এদিন এই প্রসঙ্গে করিমপুরের ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র বলেন, “প্রচার কৌশলের সামনে আনা যায় কি!” অর্থাৎ মহুয়াদেবী গোটা ব্যাপারটিকে আড়ালে রাখতে চাইলেও, তৃণমূলকে জেতানোর জন্য যেভাবে পিকের টিম করিমপুরে ঘাঁটি গাড়ছে, তাতে বিজেপি অনেকটাই অসুবিধায় পড়তে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

যদি বা বিজেপি গোটা ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া উত্তরের জেলা বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “আমাদের কারও কাছ থেকে ধার করে বুদ্ধি নিতে হয় না। সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। তাই মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে আমাদের বাইরের কাউকে দরকার নেই। জেতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। ফলাফল যাই হোক না কেন, আমরা বরাবর মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব।”

তবে বিজেপির সভাপতি যাই বলুন না কেন, করিমপুরে টিম পিকের ফর্মুলায় তৃণমূল চলতে পারলে এখানে ঘাসফুল শিবির যে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন শেষ পর্যন্ত কি হয়, কার দখলে থাকে করিমপুর, তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ভোটবাক্স খোলা পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!