দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ফলে জায়গায় জায়গায় বাড়ছে ভিড়, শিকেয় করোনাবিধি অন্যান্য রাজ্য August 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনকে হাতের কাছে পাওয়ার এই সুযোগ দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা এনে দেয়, যা কাজে লাগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারে। একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারের অন্যতম বার্তা ছিল, দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথীসহ বিভিন্ন প্রকল্প। দুদিন হল রাজ্যে আবার দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছে। এবারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মূল কারণ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। ভোটের সময়েই প্রচারে এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। তবে অন্যান্য প্রশাসনিক কাজও এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে সমাধা হয়ে যাবে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকল্পের সরকারি সুবিধা পেতে বিশেষ করে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করতে প্রায় প্রতিদিন দুয়ার সরকারের শিবিরে উপচে পড়ছে ভিড়ে। কার্যত করোনা বিধি নিষেধ শিকেয় উঠেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আবেদন করার জন্য এক বছর আগে রাজ্যজুড়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এই কেন্দ্রগুলি কোনই কাজে লাগছে না বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি কার্যত প্রচারবিহীনভাবে এত দিন চলছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন দপ্তরের অনলাইন পরিষেবা বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই গত বছর থেকে রাজ্য সরকারের হাত ধরে চালু হয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সরকারি জায়গায় একজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাও দুয়ারে সরকার হওয়ার দরুণ এই কেন্দ্রগুলিতে লোকজন নেই বলেই জানা যায়। প্রশ্ন উঠেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও দুয়ারের সরকারের ঘোষণা কেন করা হয়েছে? একইসাথে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কাজ কি এ ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। সবমিলিয়ে দুয়ারের সরকার প্রকল্পের কর্মসূচির সামনে ভালোরকম পিছিয়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বলেই মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -