এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উপনির্বাচনের আগে হেভিওয়েট নেত্রীর হাত ধরে বড়সড় শক্তিবৃদ্ধি করল শাসক দল

উপনির্বাচনের আগে হেভিওয়েট নেত্রীর হাত ধরে বড়সড় শক্তিবৃদ্ধি করল শাসক দল

 

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বারবার দাবি করা হয়, মানুষ উন্নয়নের জন্যই তৃণমূলের সাথে আছে। এমনকি বিরোধী দল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেও তৃণমূলের নেতারা এটাই দাবি করেন। তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের, তাতে তৃণমূল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।

কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে দূরে সরিয়ে রেখে এবার নিজেদের রাস্তা পাকা করার জন্য তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গেল অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরো চকমাধব গ্রামকে।

সূত্রের খবর এদিন কামারপাড়ার হাটখোলায় তৃণমূলের তরফে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবাশীষ মজুমদার, বালুরঘাট বিধানসভার তৃণমূলের কনভেনার বিভাষ চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ চাকী, বিপ্লব খাঁ সহ বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতৃত্বরা।

আর সেখানেই দেখা যায়, পুরো চকমাধব গ্রামের মানুষেরা ঘাসফুল শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেন। আর এই ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু চকমাধব নয়, কামারপাড়া, তুলসিপুর, বাদামাইল, পন্ডিতপুর গ্রামের বাসিন্দারাও এদিন ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতাকর্মীদের দলবদল স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও যেভাবে পুরো চকমাধব গ্রাম এদিন তৃনমূলে নাম লেখালো, তার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন একাংশ।

কিন্তু কী সেই কারণ! জানা গেছে, আরএসপি বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী থেকে শুরু করে তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী, কাউকে বলেই এলাকার বাসিন্দারা তাদের রাস্তার সুষ্ঠু সমাধান করতে পারেননি। যার কারণে গত 2016 বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। তবে পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা থেকে সরে আসেন তারা।

এরপর আত্রেয়ী দিয়ে নানা জল বয়ে গেলেও তাদের রাস্তার সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে বর্তমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই গোটা বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিলে এদিন পুর গ্রাম তৃণমূলে নাম লেখালো বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু যে আশায় তারা তৃণমূলে নাম লেখালেন, তা কবে পূরণ হবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “চকমাধব গ্রামে রাস্তা নিয়ে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। আমরা গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছি রাস্তা দ্রুত তৈরি করে দেওয়া হবে। ওই গ্রামের সকলে এদিন আমাদের আশ্বাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের দলে যোগদান করেছেন। 2021 সালে আমরা জেলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়লাভ করব।”

 

তিনি আরো বলেন ,”অমৃতখন্ড থেকে আমরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু করে দিলাম। প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এইরকম করে জনসভা করা হবে। এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোদিন এখানে এনআরসি হবে না।”

সব মিলিয়ে রাস্তা সারাইয়ের আশ্বাস পেয়ে পুর গ্রাম তৃণমূলের নাম লেখানোয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি হল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!