এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তৃণমূল নিয়ে আসছে কাকে? তিন হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা তীব্র

গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তৃণমূল নিয়ে আসছে কাকে? তিন হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা তীব্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এককালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অর্পিতা ঘোষের দক্ষিণ হস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন হরিরামপুরের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল। বিপ্লব মিত্র সভাপতি থাকার সময় শুভাশিসবাবু কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলেও, অর্পিতাদেবী সভাপতি হওয়ার পর তিনি আবার গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। তাকে জেলার কার্যকরী সভাপতি পদ দেওয়ার পাশাপাশি জেলা পরিষদের মেন্টর করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এসে শুভাশিস পালের ডানা ছেঁটে দিয়েছিলেন।

তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কার্যকরী সভাপতি থেকে। আর সম্প্রতি বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সেই শুভাশিস পালের কাটমানি নিয়ে আলোচনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়ে তৃনমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে ফেসবুক লাইভ করে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শুভাশিসবাবু। আর এরপর থেকেই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর পদে কে বসতে চলেছেন?

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। যার মধ্যে রয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাস এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর নাম। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। কে হবেন জেলা পরিষদের মেন্টর, এখন তা প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। তাহলে কি তিনি যেহেতু সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তাকেই জেলা পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হবে?

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অর্পিতা ঘোষ বলেন, “আমি বর্তমানে জেলার অনেক পদেই রয়েছি। এছাড়াও সংগঠন দেখতে হচ্ছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। অনেক কাজের চাপ রয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে নিয়ে যেখানে সমস্যা হবে, সেই বিষয়গুলো দেখে দেব। দ্রুত আমরা জেলা পরিষদের মেন্টরের শূন্যপদ পূরণ করব।” এদিকে এই ব্যাপারে মেন্টরের দৌড়ে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী বলেন, “জেলা পরিষদের মেন্টর পদটি রাজ্য সরকারের দ্বারা পরিচালিত। রাজ্য সরকার যাকে দায়িত্ব দেবে, তাকেই তা পালন করতে হবে। আমাকে মেন্টর পদ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানা নেই। রাজ্য সরকার যদি আমাকে দায়িত্বভার দেয়, তবে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।”

এদিকে সাম্প্রতিক কালে গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দাসের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় তাকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। তাই তাকেও মেন্টর পদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন তার অনুগামীরা। যদিও বা এই ব্যাপারে গৌতমবাবু বলেন, “জেলা পরিষদের মেন্টর পদ নিয়ে আমাদের জেলা নেতৃত্ব আলোচনা চালাচ্ছে। খুব দ্রুত নাম ঠিক করে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানাব। এবারে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন লোককেই করা হবে। তার কাজ পরিচালনার দক্ষতা থাকতে হবে। আমি এমনিতেই অনেকগুলো দায়িত্ব নিয়ে রয়েছি। তার পরেও আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি দলের সঙ্গে সেই ব্যাপারে কথা বলে নেব। এই মুহূর্তে আমি সংগঠনের কাজ করতে চাই।”

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই তিন নামের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রবীণ তৃণমূল নেতা বিপ্লব খাঁ, সত্যেন রায়ের নাম নিয়েও জল্পনা চলছে। সেদিক থেকে আজ তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। তাই সেই বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর পদে কাকে বসানো যায়, সেই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে জেলার রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!