এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিবিআই পাল্টা অভিযোগের ঝড় তুলতেই সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ আটকাতে মরিয়া রাজীব কুমার

সিবিআই পাল্টা অভিযোগের ঝড় তুলতেই সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ আটকাতে মরিয়া রাজীব কুমার


প্রায় দিনের বেশি সময় ধরে রাজীব কুমারের আবেদন নিয়ে শুনানি চলেছে। যেখানে তাঁর বক্তব্য সংবাদ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তার জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতেই সংবাদমাধ্যমের প্রতি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর দিক থেকেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করা হল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য তার তরফে সওয়াল করা হল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মধুমতি মিত্র বলেন, “বুধবার থেকে তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবারের মতো মঙ্গলবারও সারদা মামলার তদন্তে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের কার্যকলাপ নিয়ে সিবিআই একের পর তথ্য পেশ করে। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত শ্যামল সেন কমিশনকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অন্ধকারে রেখেছিল রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বলে অভিযোগ ওঠে। যার উদাহরণ হিসেবে সিবিআইয়ের আইনজীবী ওয়াই জেড দস্তুর আদালতকে জানান, সিট গত ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সারদার ৩৬৭৫টি ফাইল বাজেয়াপ্ত করলেও সেগুলি সিবিআইকে দেওয়া হয় প্রায় পাঁচ বছর পরে। অথচ, সেইসব ফাইলে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।

এমনকী ওই সংস্থার স্থাবর সম্পত্তির নথিও আছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আরও অভিযোগ করা হয় যে এই নথি বাজেয়াপ্ত করা এবং পুলিসের খাতায় তা নথিবদ্ধ করার মধ্যে সময়ের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। শুধু তাই নয়, যেসব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেগুলির ক্ষেত্রেও একই পথ অনুসরণ করা হয়েছিল বলে দাবি। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, তার মধ্যে সেইসব যন্ত্রে যে কারচুপি করা হয়নি, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে যেদিন এইসব চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করার নির্দেশ দেয়, সেদিন থেকেই রাজ্য তথা সিট প্রতি পদে তাতে বাধার সৃষ্টি করেছে। এদিনেই কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা দাবি করেন, সুচারুভাবে তাদের প্রাসঙ্গিক তথ্য নষ্ট করার প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে।

পাশাপাশি সিট ৩৯৩টি মামলা চালু করলেও সেগুলির ভবিষ্যৎ কী! তাও জানা নেই সিবিআইয়ের। অন্যদিকে সিবিআই যাদের আটক করেছিল, সেই কুণাল ঘোষ, সজ্জন আগরওয়াল, দেবব্রত সরকার, রমেশ গান্ধীর মতো ব্যক্তিদের সিট সাক্ষী বানিয়েছিল। সিবিআইয়ের বক্তব্য, অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ নথি তথা ফাইল মূল বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকায় দেখায়নি সিট।

তবে বিধাননগর ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় বাজেয়াপ্ত করা অন্তত ৪৮টি চার চাকার গাড়ি সহ বেশকিছু দুই চাকার গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শ্যামল সেন কমিশনকে তা জানানোই হয়নি। স্রেফ ফেলে রেখে সেগুলি নষ্ট হতে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ করে সারদার নামে যেসব সম্পত্তি তিনি বানিয়েছেন, তা বাগিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলে সুদীপ্ত সেন যে চিঠি সিবিআইকে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপই করেনি সিট বলেও অভিযোগ।

তবে এসবের কিছুই আবেদনকারী রাজীব কুমার জানতেন না বলে তিনি দাবি করতে শুরু করেছেন।সবমিলিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগের ঝড় তোলার প্রক্রিয়া শুরু হতেই সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশ আটকাতে মরিয়া হলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ?উঠছে প্রশ্ন

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!