প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে শিল্প ভবনে উপস্থিত হন সিবিআই আধিকারিকরা। মূলত আইকোর চিটফান্ড মামলায় রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রীকে জেরা করতেই সিবিআইয়ের এই হানা বলে মনে করা হয়েছিল। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যাপারে পার্থবাবুকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তার বাড়িতে বা অফিসে এসে তাকে জেরা করলে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই মতো করেই সোমবার তার অফিসে গিয়ে উপস্থিত হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষন জেরা করা হয় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীকে। স্বভাবতই এই জেরা পর্বের দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে। অবশেষে সিবিআইয়ের জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর গোটা বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন প্রায় দুই ঘণ্টা জেরা করা হয় পার্থবাবুকে। আর তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে এদিনের এই জেরা পর্ব নিয়ে মন্তব্য করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি সিবিআইকে বলেছি, শিল্প এবং কর্মসংস্থানের জন্য ওই অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। মন্ত্রী হিসেবে প্রতিদিন বিভিন্ন সংস্থা আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাই। সেভাবেই আমি আইকোরের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।আইকোর চিটফান্ড না কি চিটফান্ড নয়, এসব আমার জানার কথা নয়। সেটা তো আরবিআই, সেবির দেখার কথা। প্রতিদিন এমন অনেক সংস্থা মন্ত্রী হিসেবে আমাকে ডাকে। আমি সবার ব্যালেন্সশিট দেখি নাকি? আমি তদন্তকারীদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। তাদের জানিয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতে যদি আমার সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত।” স্বভাবতই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

একাংশ বলছেন, সিবিআই আধিকারিকদের তদন্ত সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে কিছুটা হলেও বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে মন্ত্রী হিসেবে তাকে ডাকার কারণেই যে তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, তা জানিয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যদি এই ব্যাপারে তদন্তের সহযোগিতা করতে হয়, তাহলে তা করতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। অর্থাৎ তদন্তকারীদের সহযোগিতা করার কথা বলে বিপদ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট শীর্ষনেতা বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই ধরনের মন্তব্যে কতটা খুশি হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।