এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এমন কি কাজ বাংলার রাজ্য সরকার করেছে যে, তারা সিবিআইকে ঢুকতে দিতে ভয় পাচ্ছে? প্রশ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রীর

এমন কি কাজ বাংলার রাজ্য সরকার করেছে যে, তারা সিবিআইকে ঢুকতে দিতে ভয় পাচ্ছে? প্রশ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রীর

দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যে শাসক দলের নেতাদের ওপর সিবিআই তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠকের শেষের দিনে কেন সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্যের এই আপত্তি সেই ব্যাপারে পাল্টা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই তোপ দাগলেন কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সিবিআই এবং ইডি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধী দলগুলো। কিন্তু কেন সেই রাজ্যগুলি সিবিআই তদন্তে ভয় পাচ্ছে এদিন সেই প্রশ্ন করেই পাল্টা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিলেন কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে চলা বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় উঠে আসল পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি। বক্তব্যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে যে, তারা তাদের রাজ্য সিবিআইকে তদন্তের জন্য ঢুকতে দেবে না। সিবিআইকে নাকি আটকে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে সমস্যা কোথায়! এই রাজ্য সরকার এমন কি কাজ করেছে যে তারা সিবিআইকে ঢুকতে দিতে ভয় পাচ্ছে। আসলে এরা নিজেদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসার আশঙ্কায় ভীত হয়ে পড়েছেন।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাই যে তাঁদের পাখির চোখ তা অনেক দিন আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এবার সেই কেন্দ্রের বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলাতেও বাংলার প্রসঙ্গ উঠে আসায় এবং সেই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তদন্তের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়ায় জোর কটাক্ষের সুর শোনা গেল। আর এতেই অনেকে মনে করছেন যে, এবার এই বাংলা থেকে বেশ কিছু আসন নিজেদের দখলে করতে মরিয়া পদ্ম শিবির।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বিরোধী দলের উপর আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। এদিন নিজের বক্তব্যের সেই সমস্ত কথা তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

তিনি বলেন, “রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির নেতা কর্মীদের উপর লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপির 100 জনেরও বেশি সমর্থক খুন হয়েছেন।” অন্যদিকে এদিনের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে পেশ হওয়া রাজনৈতিক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের দ্বারা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি তুলে ধরেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

এদিন তিনি বলেন, “বাংলায় আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একজোট হতে হবে।” অন্যদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 22 টি আসন নিজেদের দখলে রাখার দাঁড়িয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচন হল পানিপথের যুদ্ধ। এখানে হেরে গেলে দাসত্ব নেমে আসবে।” সব মিলিয়ে এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তুলতে পশ্চিমবঙ্গের উপর বাড়তি নজর দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!