এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার নতুন এই ইস্যুতে কেন্দ্রের ঘুম ওড়াতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত – জানুন বিস্তারিত

এবার নতুন এই ইস্যুতে কেন্দ্রের ঘুম ওড়াতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত – জানুন বিস্তারিত

ফের লোকসভা ভোটের আগে চাপে পড়ল কেন্দ্র। এবার কম্পিউটার ও মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে দেখা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি তদন্তের খাতিরে দেশের যে কোনো কম্পিউটার ও মোবাইল তথ্য ঘেঁটে দেখার জন্য দশটি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে অধিকার দিয়েছিল কেন্দ্র। এই সমস্ত তদন্তকারী সংস্থাগুলো ফোন বা ইমেলের পাশাপাশি প্রয়োজন পড়লে কম্পিউটারে আসা সমস্ত তথ্যই দেখতে পাবে।

আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তদন্ত সংস্থাগুলির ক্ষমতা এমন ভাবেই বাড়িয়ে দিয়েছিল দরকার অনুযায়ী যে কোনও কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন তদন্তকারীরা। একলম্ফে তদন্তকারী সংস্থাগুলোর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত এবার খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে জবাব পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়।

গত ২০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা রজু করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন শ্রেয়া সিঙ্ঘল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত আমজনতার মৌলিক অধিকারকে খর্ব করছে এই বলে ওই সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা খারিজের দাবীও করা হয়েছে। আগে শুধুমাত্র ফোনের উপর নজরদারি করতে পারতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

কিন্তু তারপর একটি নির্দেশিকা জারি করে আইবি থেকে শুরু করে আরো বেশ কয়েকটা সংস্থার তদন্তের খাতিরে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে খ্যাতনামা তদন্ত সংস্থা ‘র’-এর মতো সংগঠনও রয়েছে। এই সমস্ত সংস্থাগুলো ফোন বা ইমেলের বাইরে কম্পিউটারে আসা যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখতে পারবে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি কম্পিউটার বাজেয়াপ্তও করতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট মোবাইল বা কম্পিউটারের মালিককে। যদি তিনি তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা না করেন, তাহলে সাত বছর অবধি জেল পর্যন্ত হতে পারে। এবং এইধরনের নজরদারির পূর্বে  ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সিবিআই, এনআইএ, ‘র’, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব, অসমের ডিরেক্টরেট অফ সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স, দিল্লি পুলিশ কমিশনারের মতো দশটি এজেন্সিকে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না বলেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবার প্রথমে গর্জে উঠেছিলেন কট্টর বিজেপি বিরোধী নেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকাকে ‘বিপজ্জনক’ বলেই দাবী করে তিনি বলেছিলেন,এভাবে আমজনতার গোপনীয়তার অধিকার হনন করার কোনো অধিকার নেই বিজেপি সরকারের। মমতা ব্যানার্জীর পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়া করে বলেছিলেন,লোকসভা ভোটের আগে প্রতিপক্ষদের গতিবিধির উপর নজরদারির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী।

তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো,সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নষ্ট করার কোনো ইচ্ছা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এতে সাধারণ মানুষের কোনো সমস্যাই হবে না বা অপ্রয়োজনীয় কারো তথ্যও যাচাই করা হবে না। এই ইস্যুতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। সেই মামলার ভিত্তিতেই কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!