চা নিয়ে এবার বড় সমস্যা রাজ্যে, শেষমেষ মুখ খুললেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী আন্তর্জাতিক উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য August 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমাদের কাছে একটি অতি জনপ্রিয় পানীয় হলো চা। সকাল থেকে সন্ধ্যা যখন-তখন বাঙালির কাছে চা অনেক বেশি আপন। এ রাজ্যের দার্জিলিং চায়ের নাম তো সর্বজনবিদিত, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকেও চা আমদানি হয় বাংলায়। আর সে আমদানী করা চা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে বিতর্ক। কার্যত রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বাংলার বাইরের চা নিয়ে এবার সরব হয়েছেন। কার্যত জানা যায়, ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালেও ভালোই চা উৎপাদন হয়। নেপালের সঙ্গে ভারতের অবাধ বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। আর তার ফলে নেপালে চা ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গেও। কার্যত দেখা যাচ্ছে, নিয়ম ভেঙে দার্জিলিং চায়ের সঙ্গে নেপালের চা মিশিয়ে কিংবা আলাদাভাবে পাতার হিসাবে নেপালের চা বিক্রি করায় দার্জিলিং চায়ের বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই অভিযোগ আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। তাই এবার রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় আইনে এই অনিয়ম রক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, টি বোর্ডের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়না। তাই এবার এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শ্রমমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন, উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের। সম্প্রতি শিলিগুড়ি সফরে গিয়েছিলেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। আর তখনই তাঁর কাছে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তারা তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। এ প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী যদি নেপালের চা বাংলায় আসে, তাহলে তা আসতেই পারে। কিন্তু যেন নিয়ম ভেঙে কোথাও সেই চা বিক্রি না হয়। এ প্রসঙ্গে চা শিল্পের সংগঠন আইটি-এর সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা দাবি করেছেন, নেপালের চা খাদ্য নিরাপত্তার মাপকাঠি মেনে তৈরি হয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা অবশ্যই প্রয়োজন। এছাড়াও ডিটিএর সেক্রেটারি জেনারেল কৌশিক বসু জানিয়েছেন, টিবোর্ড এর নিয়ম হলো আমদানি করা চা প্যাকেট করে বিক্রি করতে হবে। আপাতত এই চা সমস্যা ভালোই মাথাচাড়া দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার। আপনার মতামত জানান -