এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শান্তনু ঠাকুর, চড়ছে পারদ!

নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শান্তনু ঠাকুর, চড়ছে পারদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। কি করবেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ঢিলেমির জন্য তিনি কি এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন! সেই ব্যাপারে জল্পনা দীর্ঘায়িত হতে শুরু করে।

অবশেষে মতুয়া মহাসঙ্ঘের জনসভায় এসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সেই শান্তনু ঠাকুর। সূত্রের খবর, এদিন হুগলির চুঁচুড়ায় সুকান্তনগর ফুটবল মাঠে মতুয়া মহাসঙ্ঘের একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত হন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর আর সেখানেই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, “আমি সিএএর পক্ষে। আমি সংসদের নিম্ন কক্ষে ভোট দিয়ে পাস করিয়েছি। যারা সমর্থন করছেন না, তারা কি করে আমাকে চাইছেন! একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিত, 1971 সালের পরে যারা ভারতে এসেছেন, তাদের যাতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়, তার জন্য আমী আন্দোলন করছি। যারা সমর্থন করছে না, সেখানে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কি করে! সিএএর বিরোধিতা যারা করছে, সেখানে আমি থাকি কি করে! আগে তারা বলুক যে, তারা সিএএ সমর্থন করছে। তারপর আমরা দেখছি কি করা যায়! আগে ওনারা সিএএ সমর্থন করুন।”

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে এখন নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তিনি বিজেপি ত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যদি বিজেপি ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাবেন বলে দাবি করেছিল একাংশ।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য প্রথম থেকেই এই আইনের বিপক্ষে তাদের মতামত জানিয়ে এসেছে। এমনকি রাজ্যে কোনোমতেই তারা এই আইন লাগু হতে দেবেন না বলে জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে যারা এই আইন সমর্থন করছেন না, তাদের দিকে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না, সেকথা বলে কার্যত তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনাকে উড়িয়ে দিলেন বিজেপির শান্তনু ঠাকুর বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য কবে সিএএ আইন লাগু হবে, সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “যদি কিছু সংখ্যক মানুষ এই আইন লাগু করতে না দেয় এবং তার জন্য যদি হিংসা ছড়ায়, তাহলে আমরাও নমঃশূদ্র সমাজ বাংলায় কম নেই। আমরা ভারত সরকারকে অবহিত করছি, অশান্তি হলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এই সমাজের মানুষের আছে। 1971 সালের পর যারা ভারতবর্ষে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের কর্তব্য।”

তবে নিজের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তার দলবদলের জল্পনাকে শান্তনু ঠাকুর উড়িয়ে দিলেও, পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মমতাবালা ঠাকুর বা শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে আমি মধ্যস্থতা করতে পারি।” একাংশ বলছেন, বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে যখন বিজেপি তৃণমূলকে এনে ঘাসফুল শিবিরের ভোটব্যাংকে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছে তখন পাল্টাতে মূল্যের পক্ষ থেকে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হতেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তবে এবার সিএএ আইনকে যারা সমর্থন করছেন না, তাদের দিকে যে তিনি কোনমতেই যাবেন না, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। যার ফলে তার তৃণমূল যোগের জল্পনায় কার্যত জল পড়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!