এবার বর্ষায় ডেঙ্গু এড়াতে আগেভাগেই বড়সড় পদক্ষেপের পথে কলকাতা পুরসভা কলকাতা রাজ্য August 1, 2018 বর্ষা আসলেই মশাদের প্রকোপ বাড়ে। শুরু হয় ডেঙ্গু। কিন্তু এবারে তা আটকাতে বদ্ধপরিকর কোলকাতা পুরসভা। জানা গেছে, শহরের উল্টোডাঙা-মানিকতলা খালপাড় সংলগ্ন এলাকায় 14 নং ওয়ার্ডে গত কদিনে তিরিশ জনের শরীরে ডেঙ্গুর লার্ভা মিলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন মূলত ক্যাল ইষ্ট রোড; মুরারিপুকুর রোড ও হরিশ নিয়োগী রোডেই এই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আর তাই এই ডেঙ্গু আটকাতে 14 নং ওয়ার্ড যে বরোর অধীনে রয়েছে সেই 3 নং বরোর মিটিং চলছিল মঙ্গলবার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউত। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে মিটিংয়ের খবর পেয়েই সেখানে চলে আসেন কোলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। বৈঠকে তিনি বলেন, “ঘরে বসে নয়। বাড়ি বাড়ি ঘুরুন। এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।” ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঠিক কী উদ্যোগে নেওয়া হচ্ছে মেয়র পারিষদ আতীন ঘোষ এই প্রশ্ন মেয়র বরো চেয়ারম্যানকে করলে 3 নং বরো চেয়ারম্যান জানান, ” ডেঙ্গির জীবানু যাতে ছড়াতে না পারে তার কারনে গত সাত আটদিন ধরে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম কাজ করছে।” এদিকে এদনের এই বৈঠক নিয়ে 14 নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী বলেন, “মেয়র পারিষদ নির্দেশ দিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হবে। সব জায়গা পরিস্কার রাখতে হবে। কোথাও জমা জল থাকা চলবে না।” তবে শুধুই 3 নং বরোই নয়, এদিন 1,2,4 নং বরোতে গিয়ে মিটিং করলে 1 নং বরোতে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীদের সঠিক সময়ে উপস্থিতি না হওয়ায় তাঁদের কড়া ধমক দেন অতীন ঘোষ। এদিকে এই ডেঙ্গু আটকাতে একটি অভিনব প্রতিযোগীতার কথাও ঘোষনা করেছেন এই স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ। জানা গেছে, এবছর মহালয়া দেকে শুরু এই প্রতিযোগীতায় শহরকে সাতটি জোনে ভাগ করে মহালয়া, প্রতিপদ ও দ্বিতীয়াতে পুজো কমিটির লোকেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখবেন। এবং তৃতীয়া, চতুর্থী পঞ্চমীতে স্বাস্থ্য বিভাগের বিচারকরা এই পুজো কমিটির কাজ দেখে সাতটি জোনে সাতটি অর্থমূল্যের পুরস্কার দেবে। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু আটকাতে তৎপর কোলকাতা পৌরসভা। আপনার মতামত জানান -