প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চীন ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সমস্যা এখনো বর্তমান। কিছুদিন আগেই গালওয়ান সীমান্তে চীন-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে গন্ডগোল লাগে। শুরু হয় হাতাহাতি এবং তাতেই প্রায় কুড়িজন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। এরপরে ভারতীয় জওয়ানদের সাথে সাথে আপামর ভারতবাসীও চীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন। একযোগে ডাক দেওয়া হয় চীনা দ্রব্য বয়কটের। এই অবস্থায় ভারত সরকারও বেজিং সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। একের পর এক চীনা অ্যাপ বন্ধ করে দেয় ভারত।

যদিও ভারত সরকার দাবি করেছে, নিরাপত্তার কারণেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে চিনা অ্যাপগুলি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত, ভারতের বুকে ব্যাবসায়িক দিক থেকে চীনকে কোণঠাসা করার জন্যই অন্যতম পদক্ষেপ ভারত সরকারের। যদিও তাতে চীনের কোনই শিক্ষা হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এরপরেও চীন ক্রমাগত ভারতে অবৈধভাবে অগ্রসর হচ্ছে সীমানা লংঘন করে। যদিও ভারতীয় সেনা জওয়ানরা সীমান্তে সবসময়ই দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁদের আটকানোর জন্য এবং তাতে সফলও হচ্ছে।

কিন্তু এবার ভারত সরকার চীনকে আরো কড়া জবাব দেওয়ার জন্য একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছেন ভারতের বুকে। এবং তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় গেম অ্যাপ পিইউবিজি। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পিইউবিজি এবং 118 টি অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তথ্য চুরি এবং ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি চালানোর। শুধুমাত্র নিরাপত্তার খাতিরেই কেন্দ্র এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চীনকে আরো বেশি করে অর্থনৈতিক দিক থেকে কোণঠাসা করার জন্যই ভারতের এই পদক্ষেপ।

এর আগেও প্রায় দেড়শটি চীনা অ্যাপ বন্ধ করার সাথে সাথে চীনের সঙ্গে চুক্তি হওয়া বিভিন্ন সংস্থার একাধিক বরাদ্দও বাতিল করে দেয় রেল এবং বিএসএনএল। তবে মনে করা হচ্ছে, চীন এইমুহুর্তে ভারতের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা সৈন্যদের পিছনে রাখতে যেভাবে ভারতীয় জওয়ানরা দাঁড়িয়ে রয়েছে, ঠিক সেভাবেই চীনের অর্থনীতিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত সরকার। আর এক্ষেত্রে চীনকে একটি যোগ্য জবাব দেওয়া হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহুর্তে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাময়। আগামী দিনে এই সীমান্ত সমস্যা কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন লক্ষ্য রাখছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।