প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত 15 জুন ভারত-চীন সংঘর্ষে ভারতের প্রায় কুড়ি জন জওয়ান প্রাণ হারান। যে ঘটনার পর থেকেই চীনের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার কথা শোনা যায় ভারতবাসীর গলায়। কেন এভাবে চীন তাদের প্রতিহিংসা চালাবে, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। এমনকি সরকারের কাছে বিরোধীলের পক্ষ থেকেও আবেদন জানানো হয় যে, এবার যেন বদলার রাস্তায় হাঁটা হয়। আর এবার চীনকে জবাব দিতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

জানা গেছে, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার পর এবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও বিদ্যুৎ বিভাগ চীনা বিদ্যুৎ মিটার এবং অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ চীনকে কোণঠাসা করতে এখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ যে ময়দানে নেমে পড়ল, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল। এদিন এই প্রসঙ্গে ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে মোদি সরকারকে পদক্ষেপ নিতে দিন। কেন্দ্রীয় সরকার সেনাবাহিনীকে সীমান্তে মু্ক্ত চিন্তা দিয়েছে। পাশাপাশি চীনের এই লড়াইয়ে উপযুক্ত শিক্ষা চীনকে দেবই উত্তেজনার পর ভারতীয়রা চীনা পন্য বর্জন করছে। তারা এখন চীনকে আমাদের শত্রু দেশ বলছে।”

বলাবাহুল্য, চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রায় কুড়ি জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারালে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয় গোটা ভারত। বিভিন্ন জায়গায় চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি চীনা পণ্য বয়কটের দাবি জানান অনেকে। যার ফলে এমনিতেই ভারতের কাছে অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছিল চীন। আর এবার চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি চীনকে যাতে চাপে রাখা যায়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের স্বার্থে আঘাত করলে সকল দেশবাসী রাজনৈতিক মতানৈক্য ভুলে একজোট হন। এটাই ভারতের মহত্ব। সেদিক থেকে চীন ভারতের কুড়িজন জওয়ানের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর দলমত নির্বিশেষে সকলেই চীনের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আর তারই অঙ্গ হিসেবে চীনকে চাপে রাখতে যোগী আদিত্যনাথের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন অনেকটাই বাড়বে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। তবে আরও কোন কোন পদ্ধতিতে চিনকে চাপে রাখে উত্তরপ্রদেশ সরকার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।