এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > চলছে ‘করোনা সেল’! মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করছে জামাতার গ্যাং! জানুন – সাবধান হন!

চলছে ‘করোনা সেল’! মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করছে জামাতার গ্যাং! জানুন – সাবধান হন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের কারণে দেশ জোড়া লকডাউন থাকায় এবারে চৈত্র সেল মিস করেছেন। পহেলা বৈশাখের বাজারও মাটি হয়েছে, জমতে পারে নি রথ, কিংবা ঈদের মার্কেটিং। তাতে কি হয়েছে? এবার তো এসেছে ‘ করোনা সেল ‘। যা অত্যন্ত সীমিত সময়ের জন্যই উপলব্ধ। যেখানে ৮০ হাজার টাকার ক্যামেরা পাবেন মাত্র ১২ হাজার টাকায়। ১ লক্ষ টাকার বাইক মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় পাবেন। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা মোবাইল যাই চান তাই পাবেন জলের দরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অফার দেখে আপনিতো অত্যন্ত আনন্দিত! তবে সাবধান ইটা কিন্তু জামতাড়ার সাইবার অপরাধীদের ভুয়ো বিজ্ঞাপন। এদের প্রধান শিকার টিনেজার অর্থাৎ যুবক-যুবতী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একাধিক পোস্ট করেছে তারা। সস্তায় জিনিস দেবার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন কৌশলও নিয়েছে, যেমন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভুয়া ভোটার কার্ড, আধার কার্ড পাঠিয়ে দিচ্ছে তেমনি রেখেছে হেল্পলাইন নাম্বার। সে কারণেই তাদের বিশ্বাস করতে দ্বিধাবোধ করছে না অনেকেই। এই মানুষগুলোর মূল টার্গেট তরুণ-তরুণীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিএসএলআর ক্যামেরা, বাইক, মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপন দেখে সহজেই ঝুঁকে পড়ছে টিনএজাররা।

তাদের বায়নাক্কা মেটাতে বাবা মা অনেক সময় বাধ্য হচ্ছেন, তাদের হাতে টাকা তুলে দিতে। টাকা পেয়ে প্রতারকদের ওয়ালেটগুলিতে র টাকা তারা পাঠাচ্ছে। কিন্তু টাকা তো পাঠানো হচ্ছে কিন্তু সামগ্রী আসছেনা। হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করেও কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর যতক্ষণ চৈতন্যদয় হচ্ছে ততক্ষণ সব শেষ টাকা-পয়সা মেরে পাখি ফুড়ুৎ। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে এমন খবর।

এমন একটি ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার মুক্তিনগরে। স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ কর্মকার, যিনি অল্প কিছুদিন আগেই ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখেছিলেন। যে পোস্টে লেখা ছিল একটি দামি ক্যামেরা মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হবে। ফেসবুকের সেই পোষ্টের সঙ্গে একটা মোবাইল নাম্বারও দেওয়া হয়েছিল। এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতেই তাঁর হোয়াটস আপ নাম্বারে একটি ওয়ালেট নম্বর পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তিনি ১১০০০ টাকা পাঠিয়ে দেন। কথা ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্যামেরা চলে আসবে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেল ক্যামেরা এলো না। এরপর তিনি ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে আরও ৮ হাজার টাকা তাঁকে পাঠাতে বলা হলো। এবার সন্দেহ হলো। বলে দিলেন ক্যামেরা দরকার নেই আগের পাঠানো টাকা ফেরত দিতে। আর টাকা ফেরতের কথা বলতে না বলতেই একের পর এক হুমকি আসতে শুরু হলো ওই সংস্থা থেকে। শুভজিৎ কর্মকারের সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার ওপর এক যুবক মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপারের কাছে এমনি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সেই প্রতারিত জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবার ব্যবসা আছে। ফেসবুক পেজে লোভনীয় অফার দেখার পর তিনি বাবার কাছে অর্থের দাবি করেছিলেন। তার বাবা তাকে অর্থ দিয়েও ছিলেন। সংস্থার ওয়ালেটে তিনিও টাকা পাঠিয়ে ছিলেন, কিন্তু ক্যামেরা পাননি। তাদের অভিযোগ সম্পর্কে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে রাজকুমার বলেছেন, “এমন বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে। আমরাও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, জামতারা গ্যাং বলে একটি গোপনীয় সাইবার অপরাধীদের গ্যাং ইতিমধ্যেই গজিয়ে উঠেছে, ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানো যাদের প্রধান উদ্দেশ্য। তবে গ্রাহকরা সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতন হওয়ায় এখন আর ফোন করে টাকা সেভাবে তারা টাকা হাতাতে পারছে না। এই কারণেই তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা রকম ভুয়ো পোস্ট করে তাদের প্রতারণার জাল বিছাচ্ছে। নিজেদের সংস্থাকে সত্যি বলে প্রমানিত করতে ভুয়ো ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডও তারা পোস্ট করছে। বিপুল অঙ্কের টাকা একেবারে না মেরে অল্প অল্প করে টাকা মারার ফন্দি আছে তাদের। এমনটাই ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!