এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বেড়াতে বেরিয়ে অসভ্যতা? এবার সিভিক ভলেন্টিয়ার পেটানোর অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

বেড়াতে বেরিয়ে অসভ্যতা? এবার সিভিক ভলেন্টিয়ার পেটানোর অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা নেতা এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে। কখনও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ, আবার কখনও বা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠতে দেখা যায় শাসক দলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে। আর এবার স্বাধীনতা দিবসে ঘুরতে বেরিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, এদিন জলপাইগুড়ি পৌরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর দাস তার পাঁচজন সঙ্গীকে নিয়ে লাটাগুড়ি সংলগ্ন জঙ্গলে বেড়াতে যান।

অভিযোগ, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেই তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গীরা লাটাগুড়ি বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের গাড়ি পার্কিং করে রাখেন। যার ফলে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এর পরে স্থানীয়রা এই ব্যাপারে আপত্তি জানালে সেই তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা তৈরি হয়‌। জানা গেছে, বিদায়ী কাউন্সিলর এবং তার সঙ্গীরা স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। ফলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, অন্যায় কাজে পুলিশ আপত্তি জানালেও, কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিদায়ী কাউন্সিলর এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হলে মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হচ্ছেন, সেখানে তার দলের জনপ্রতিনিধিরা যদি এইরকম কাজ করতে শুরু করেন, তাহলে সাধারন মানুষ কিভাবে শাসক দলের উপর ভরসা রাখবেন? আইনের রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে আইনের শাসন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়বে, সেই বিষয়টা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু কেন এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা?

যদিও বা গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর দাস। তিনি বলেন, “এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।” তবে এই প্রসঙ্গে লাটাগুড়ি তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “দল কখনও এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেবে না। আইন আইনের পথে চলবে।” কিন্তু বার বার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও যেভাবে তৃণমূল নেতারা তাদের বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছেন, তাতে শাসকদল বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!