এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোময় রাজ্যকে নিরুপদ্রব রাখতে ২ লক্ষ উর্দিধারী সিভিক পুলিশ যা করলেন, জানলে কুর্নিশ জানাবেন

পুজোময় রাজ্যকে নিরুপদ্রব রাখতে ২ লক্ষ উর্দিধারী সিভিক পুলিশ যা করলেন, জানলে কুর্নিশ জানাবেন


বাতাসে শিউলির গন্ধ মেখে গোটা রাজ্য আপাতত মেতে আপামর বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব – দুর্গাপূজা নিয়ে। মহালয়া থেকেই যে উৎসবের মেজাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল – আজ বিজয়া দশমীর দিনে তার সমাপ্তি হতে চলেছে। আর সেই উৎসবকে আরো আপন করে নিতে আম-বাঙালি সারা বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে মেতে ওঠেন নিজের পরিবার পরিজনকে নিয়ে। শহর কলকাতা তো বটেই সারা রাজ্যই প্রায়, রাত বাড়ার সাথে সাথে ভেসে যায় জনজোয়ারে।

আর এবারের রাজ্যের শারদোৎসবে অশান্তি হোক বা দুর্ঘটনা – সমস্ত কিছুই রুখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল প্রশাসন। মানুষ যাতে শান্তিতে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন তার জন্য খামতি রাখা হয় নি কোনো কিছুতেই। ভিড় সামলাতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব কমিটিগুলিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অতীতের ভয়াবহ খাগড়াগড় বিস্ফোরোনকান্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে ভিড় উপচে পড়া পুজো মন্ডপগুলিতে ওয়াচ টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নাকা চেকিং এবং রাজ্যের সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারদের নিজ নিজ এলাকার নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। আর তাইতো রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটি পড়ে গেলেও নবান্ন থেকে গোটা রাজ্যের ওপর নজড় রেখেছেন ডিজি এবং রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, এবছর হাওড়া এবং দক্ষিন ২৪ পরগনায় বেশ কয়েকটি নতুন বড় পুজো হয়েছে। আর সেখানে হাওড়ার একটি বড়ো পুজো নিয়ে অতি তৎপর ছিল প্রশাসন – জলে হওয়া এই পুজোকে এবার ডাঙায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কেননা, দেশপ্রিয় পার্কের বড় পুজো নিয়ে ভিড় সামলাতে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে মেট্রো ধরতে হয়েছিল। এছাড়াও বিগত বাম সরকারের আমলে বন্যার সময় খুব অসুবিধেয় পড়েছিলেন তিনি।

তাই গঙ্গায় হওয়া পুজো এবার ডাঙায় নিয়ে আসতে নবান্নের সাথে কথা বলেছিলেন তিনি। কারন জলে পুজো হলে অনেক বিপদের আশঙ্কাও থাকে। অন্যদিকে শুধু হাওড়া জেলা নয়, কলকাতা ও রাজ্যের যেসব জায়গায় বড় বড় পুজো হয় সেখানে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি। সব মিলিয়ে উৎসবের দিনে মানুষের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর ছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। আর সে কাজে যে তাঁরা যথেষ্ট সফল – তা নিরুপদ্রবে কাটা পুজো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ তো গেল – নিরাপত্তার চাদর। কিন্তু রাস্তায় যে জনজোয়ার প্রত্যেকদিন আছড়ে পড়েছিল – ট্রাফিক থেকে পথচলতি মানুষের ঢেউ, তা সামাল দিতে পুজোর আনন্দ ভুলে, পুজোর দিনে নিজের পরিবারকে ছেড়ে দায়িত্ত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রশাসনের চিন্তা অনেকটাই দূর করেছিলেন রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ার। পুজোর কটা দিন যখন সাধারণ মানুষ হয় নিজের পরিবারকে সময় দিয়েছেন বা ভালোমন্দ ভুরি-ভোজে সময় কাটিয়েছেন – তখন প্রায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে সেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সামলানো থেকে তাঁদের পুজোর আনন্দ আরো সুমধুর করে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন এই সিভিক পুলিশরা। আর তাই, এবারের সুষ্ঠু পুজো উদযাপনে রাজ্যের এই লক্ষ লক্ষ সিভিক পুলিশদের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ প্রশাসনের তরফে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!