ইরাকে নিহতদের স্ত্রীদের পাঁচ লক্ষ টাকা ও সরকারি চাকরি দিয়ে পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ খবর রাজ্য April 7, 2018 ইরাকে নিহত ভীমপুরের মহখোলার বাসিন্দা সমর টিকাদারের স্ত্রী দীপালি টিকাদার এবং তেহট্টের ইলশেমারির বাসিন্দা খোকন সিকদারের স্ত্রী নমিতা সিকদারকে তাঁদের পুত্র কন্যা সহ শুক্রবার নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে ঐ দুই পরিবারের খবর পাঠানো হয় যে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সাথে নবান্নে দেখা করতে চান। শুক্রবার প্রায় ৪৫ মিনিট ঐ দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলার সময়ে কার্যতই দিপালী দেবী ও নমিতা দেবী দুঃখ-শোকে ভেঙ্গে পড়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। এইসময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ভরসা জুগিয়ে জানান, আমরাও তো খোঁজ করছিলাম ওঁদের। কী আর করা যাবে, কষ্ট তো হবেই। কিন্তু বাচ্চাদের মানুষ করতে হবে। কোনও অসুবিধা হলে বলবেন, আমরা দেখব। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে দুই পরিবারের থেকে তাঁদের পরিবারের খুটিনাটি সব কথাই শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। নমিতা দেবী ও দীপালি দেবী – প্রত্যেকের হাতেই পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নমিতা দেবী ও দিপালী দেবী দুজনকেই হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও দিয়েছেন। এই সময়ে নমিতা দেবীর মেয়ে গীতা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, যদি চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি পাওয়া যেত, তা হলে তার মা অফিসে বসে কাজটা করতে পারতেন, তাঁর সুবিধা হত। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি পঞ্চায়েত ভোটের পর তিনি বিচার বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও মৃত সমর টিকাদার এবং খোকন সিকদার-এর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে এই দুই পরিবারকে বাড়ি তৈরী করে দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অফিস থেকে বেরিয়ে নবান্নের নীচতলা অবধি নেমে এসে তাঁদের গাড়িতে তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে দীপালিদেবী জানান, আমাদের কোনও বিষয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা মুখ্যমন্ত্রী দেখবেন বলেছেন। অন্যদিকে, নমিতাদেবী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ। উল্লেখ্য, সমর টিকাদার এবং খোকন সিকদার অন্য সব ভারতীয় নাগরিকদের মতোই ইরাকে গেছিলেন জীবিকার প্রয়োজনে। সেখানে ২০১৪ সালে ইরাকের জঙ্গি গোষ্ঠী ৩৯ জন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এই অপহৃত এবং নিহত ভারতীয়দের মধ্যে ছিলেন সমর টিকাদার এবং খোকন সিকদার। এরপর আনুমানিক চার বছর অতিক্রান্ত। গত ২০ শে মার্চ বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সংসদে জানান, অপহৃতদের মৃত্যু হয়েছে, ৩ রা এপ্রিল ইরাক থেকে মৃতদেহ এসে পৌঁছোয় নিহতদের বাড়িতে। আর তারপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন। আপনার মতামত জানান -