এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ পদাধিকারী হেভিওয়েট নেতাকে মারধর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে, অস্বস্তিতে তৃণমূল

প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ পদাধিকারী হেভিওয়েট নেতাকে মারধর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে, অস্বস্তিতে তৃণমূল

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে শাসক দল তৃণমূল নিজের সংগঠনকে মজবুত করার যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু শাসকদল তৃণমূল হাজার চেষ্টা করেও রুখতে পারছে না দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে। স্থানে স্থানে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। সম্প্রতি পার্কসার্কাসে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার সামনে এসে পরল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পার্কসার্কাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলেন পার্কসার্কাসের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ও বর্তমান কো-অর্ডিনেটর সুশান্ত ঘোষ।

তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, গতকাল ঘটনাস্থলে তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করেছে। শেষপর্যন্ত আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ওপরে এই মারধরের জন্য তিনি অভিযুক্ত করেছেন মন্ত্রী জাভেদ খানকে। রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষের দীর্ঘসময়ের বিরোধ রয়েছে। মন্ত্রী জাভেদ খান অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, সুশান্ত ঘোষই তাঁর অনুগামীদের মারধর করেছেন।

আহত তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই তিনি পার্কসার্কাসের ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে জাভেদ খানের অনুগামীরা তাঁর ওপর অকস্মাৎ চড়াও হয়। তারপর তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি সেখানে এসেছেন, এ কথা জানানোর পরই হামলাকারীরা তাঁকে জানায় যে, এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হলেন জাভেদ খান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষের উপরে এমন হামলা প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সেই সঙ্গে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই সুশান্ত ঘোষ সেখানে গিয়েছিলেন। তাই তাঁর ওপর আক্রমণ করার অর্থই হলো, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করা। এমন কাজ যারাই করে থাকুক, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে।

তবে, মন্ত্রী জাভেদ খান সুশান্ত ঘোষের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানালেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, তাঁর কোনো অনুগামী সুশান্ত ঘোষকে মারধর করেনি। তিনি এখানে এসে নাটক করছেন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশের বড় বড় পদাধিকারী থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সমর্থকেরা কেউ যদি সুশান্ত ঘোষকে মারধর করতো, তাহলে তিনি সরাসরি পুলিশকে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, সুশান্ত ঘোষই তাঁর সমর্থকদের মারধর করেছেন।

গতকালের এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার সামনে এলো শাসকদল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি রাজ্যের নানা স্থানে শাসকদল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব তথা গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে। অন্তদ্বন্দ্বের কারণে আলগা হয়ে পড়ছে দলের বাঁধন। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলায় শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যা দলের কাছে অশনি সংকেত হবে বলে মনে করছেন রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!