এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রী-পুত্র সহ তৃণমূল নেতাদের নামের পাশে ‘বিজেপি’ লেখা বিশেষ তালিকা!

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রী-পুত্র সহ তৃণমূল নেতাদের নামের পাশে ‘বিজেপি’ লেখা বিশেষ তালিকা!


রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ ঘোষ এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান সহকারি সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়াকে বিজেপি বলে উল্লেখ করা হলো। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে। আর যা নিয়েই তীব্র শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে যে সদস্যের তালিকা দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাতে কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্যদের তালিকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ ঘোষ এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান সহকারি সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়াকে বিজেপি বলে উল্লেখ করা আছে।

তবে এখানেই শেষ নয়! স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শুচিস্মিতা দেবশর্মা, নুর আলম হোসেন-সহ একাধিক সদস্যকে এসইউসিআই দলের বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া একাধিক সদস্যের নামের পাশে সিপিএম এবং কংগ্রেসও লেখা ছিল! অথচ এনারা প্রত্যেকেই তৃণমূল সদস্য। কি করে এই ভুল হলো? তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কেননা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হচ্ছে যে তালিকা, তা বার বার দেখে নিয়ে পাঠানো হবে এটাই স্বাভাবিক।

একজনের চোখ এড়িয়ে গেলেও অন্যজনের চোখে পড়বে বিষয়টি – কিন্তু কিছুতেই কিছু কাজ হয়নি কেন? কেন এহেন ভুল? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে নবান্নের অলিন্দে! এদিকে এমন ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সকলে। নেত্রীকেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখে যায়। আর শেষে তড়িঘড়ি বিষয়টি সামাল দিতে আসরে নামেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু কারণ সম্পর্কে অজানা সকলেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই নিয়ে কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণও জানান, সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে তাঁদের তরফেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। এমনকি, পঞ্চায়েত মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভ বেড়েছে সদস্যদের। তাঁদের দাবি, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই ওই তালিকা পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কেন এমন হল, বোঝা যাচ্ছে না। যাঁরা তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁরা জেলা পরিষদের সঠিক তথ্য হাতে পাবেন না – তা তো হতে পারে না!

অবশ্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বার বার দাবি করা হচ্ছে যে তাঁরা সঠিক তালিকাই করেছিলেন। সেই তালিকা কোথায় কী ভাবে পাল্টে গেল, তা বুঝতে পারছেন না। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের মতে, তবে কি বিজেপিতে যোগ দেবার সামান্যতমও হলেও সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে রবি পুত্রের? কেননা লোকসভা ভোটে খারাপ ফল হবার পরেই জেলা সভাপতির পদ হারিয়েছেন রবিবাবু।

অনেকেই তাই রবিবাবুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অন্যদিকে আবার শোনা গিয়েছিলো যে প্রশান্ত কিশোরের ‘পরামর্শ’ মত দলের ‘বিতর্কিত’ নেতাদের মুখে লাগাম টানা হচ্ছে। আর তার সাথে রাজ্যের কয়েকজন নেতা মন্ত্রীকে বেলাগাম মন্তব্যের জন্য ডানা ছাঁটার পরামর্শও নাকি দিয়েছিলেন নেত্রীকে। আর নেত্রী সেই ‘পরামর্শ’ মতোই কাজ করার সম্মতি জানিয়েছিলেন। আর সেই তালিখে রবিবাবুর নাম আছে এমন জল্পনাও ছড়িয়েছিলো।

ফলে সব মিলিয়ে কিছুটা হলেও চাপে ছিলেন মন্ত্রী। আর তাই কি বিজেপিতে যোগাযোগ রাখছিলেন? যা নেত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছাতেই এহেন ‘তালিকার সাহায্য’ নিয়েছেন দলের অন্যান্যরা? তীব্র হচ্ছে সেই জল্পনা! যদিও শুধু রবিবাবুর ছেলের নাম নয়, সেই তালিকায় অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নামের পাশেও লেখা আছে অন্য দলের নাম। ফলে, বাড়ছে আরও রহস্য! কে বা কারা এবং কেন এই ‘ভুল’ করলেন? কোন ‘বার্তা’ সামনে আনতে চাইলেন?

তবে তৃণমূলের এক অংশের মতে, এখন প্রধান প্রতিপক্ষ হলো বিজেপি। তালিকায় অন্য দলের নাম থাকলেও, কজন সেই দলে যেতে চাইবেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। গেলে আপাতত শুধু মাত্র বিজেপিতে যেতে পারে। অন্যদের নামের পাশে অন্য দলের নাম লেখা নিতান্তই ‘ভুল’ হয়েছে। তবে, দলেরই আরেক অংশের মতে, অন্যান্য দলের নাম লেখা হয়েছে ‘ভুল’ প্রমান করতে! আসল ‘রহস্য’ ওই ‘বিজেপি’ নামেই! তবে এই নিয়ে রবিবাবু বা তাঁর পুত্রের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখন নেত্রীর পদক্ষেপ কি? তা দেখার অপেক্ষার রাজ্যবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!