মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সার! শিক্ষক বদলি আপাতত বিশ বাঁও জলে! কারণে আবহে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ক্ষোভ কলকাতা রাজ্য August 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষকদের বদলির ব্যাপারে সুখবর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরস্বতী পুজোর আগের দিন শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্কুলশিক্ষকদের নিজের জেলায় বাড়ির কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করার পরেই শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র উৎসাহ দেখা দেয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার সাত মাস কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। উল্টে এখনও পর্যন্ত বদলির ব্যাপারে কোনো কাজই শুরু করতে পারেনি বিকাশ ভবন। যেখানে শাসকদলের শিক্ষক নেতাদের বেশ কিছু ক্ষেত্রে চাপ আসায় রীতিমত ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকদের একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিষয়বস্তু, শিক্ষার মাধ্যম, লিঙ্গ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করেই বদলির কাজ করতে হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এই কাজ অনেকটাই সহজ। কারণ সেখানে এসব পোস্ট প্রায় একই ধরনের। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। যার ফলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেও, কেন এখনও কাজ শুরু হল না, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, এর জন্য শাসকদলের শিক্ষক নেতাদের ভূমিকা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা সরকারি আধিকারিকদের ওপর চাপ দিচ্ছেন, কাকে কোথায় বদলি করতে হবে। যার ফলে বাড়ছে সমস্যা। তবে অনেকে আবার এই ব্যাপারে সরকারি আধিকারিকদের দীর্ঘসূত্রিতাকেই দায়ী করছেন। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, যদি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে গোটা বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হত, তাহলে শিক্ষকদের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই শাসকদলের দিকে থাকত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সামনেই যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন এই বিষয়ের দিকে যদি রাজ্য সরকার বেশি পরিমাণে নজর দেয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষকদের সমর্থন পেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে গোটা পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত ঢিলেমি পর্যায়ে রয়েছে, তাতে কবে তা স্বাভাবিক ভাবে রুপায়িত হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -