শারদোৎসব নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, পুজো মণ্ডপগুলিকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতেই কি এত তৎপরতা! জোর গুঞ্জন কলকাতা রাজ্য August 3, 2019 লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের উত্থান ঘটেছে। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও প্রবেশ করতে শুরু করেছে বিজেপি। খেলার মাঠ, টলিপাড়া থেকে শুরু করে আসন্ন শারদোৎসবে কিভাবে নিজেদের বিস্তার লাভ করা যায়, তার জন্য ছক কষছে তারা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দলীয় সাংসদ এবং নেতাদের জনসংযোগে ব্রতী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলেও আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে, যাতে কোনো পূজোর রাশ বিজেপির হাতে না যায়। আর এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছরের মতো এবারও কলকাতার দূর্গাপুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে আগামী 30 আগস্ট নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পুজো কমিটির এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করার কথা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই পুজোর জন্য এখনও পর্যন্ত দুই মাস বাকি থাকলেও কলকাতা পুলিশের নটি ডিভিশনের ডিসিরা পুরো জুলাই মাস শহরের নামীদামি পুজো স্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কোনো অবস্থাতেই দর্শনার্থীদের সুরক্ষার সঙ্গে যেন আপস করা না হয়, তার ব্যাপারেও তারা উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও পুজো কমিটিগুলোকে প্যান্ডেলের প্রবেশ এবং বাহিরের পথের আকার আয়তন বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। আর কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই নির্দেশের পরই এবার মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন। তবে এবারে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারের তরফ থেকে পুজো কমিটিগুলোর জন্য কোনরূপ উপহার ঘোষণা করেন কিনা, সেদিকেও নজর রয়েছে অনেকের। কেননা বর্তমানে ক্লাবগুলিতে ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরে প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। তাই সেদিক থেকে গেরুয়া শিবিরের গ্রাস থেকে এই ক্লাবগুলোকে মুক্ত করে নিজেদের বাগে আনার জন্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী আগামী 30 আগস্টের বৈঠকে উপহারস্বরুপ কোনো ঘোষণা রাখেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন একাংশ। আপনার মতামত জানান -