এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভিন রাজ্যে আটকে পড়াদের জন্য এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

ভিন রাজ্যে আটকে পড়াদের জন্য এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি


বিভিন্ন দেশে করোনা ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়ানোর পর তার মারণ থাবা পড়ে ভারতবর্ষে। এদেশে করোনা প্রবেশের কিছু দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি মিলিতভাবে লকডাউন ঘোষণা করে। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত পরিবহণ ব্যবস্থা এবং দোকান বাজার ইত্যাদি। সবকিছু বন্ধ হওয়ার ফলে রুজি রোজগারও থমকে যায়। এই পরিস্থিতিতে দেখা যায় লকডাউনের মাঝেই বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা অর্থাৎ যাঁরা এলাকা ছেড়ে বাইরের যে কোন রাজ্যে কর্মসূত্রে গেছেন, তাঁরা ফিরতে শুরু করেন।

অন্যদিকে, পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্য তাঁরা মাইলের পর মাইল হাঁটা শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে 2-1 জনের প্রাণও যায় বলে খবর। তবে এবার বাংলার পরিযায়ীদের জন্য আশার কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা ছাত্রছাত্রী, অসুস্থ রোগী এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে আবার নিজের রাজ্যে ফিরতে পারে সে ব্যাপারে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সোমবার একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমি যতদিন আছি, বাংলার কেউ নিজেকে অসহায় মনে করবেন না। আপনাদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টায় কোনও খামতি থাকবে না।’

ইতিমধ্যে রাজস্থানের কোটা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে রাজ্যের তরফ থেকে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে এবং চিকিৎসা করতে গিয়ে চেন্নাই ও ভেলোরে যেসব বাংলার বাসিন্দা ও শ্রমিক আটকে আছেন, তাঁদেরকে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ ট্রেন ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার বলে খবর। জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য রাজস্থানের কোটায় বাংলার বহু ছাত্র-ছাত্রী আটকে রয়েছে।

তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনতে এবার রাজ্যের তরফ থেকে এসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় তিন দিন অতিক্রান্ত করতে হবে বাসে। তাই খাবার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার জন্য মাঝে মাঝরাস্তায় যে রাজ্য পড়বে সেখানে ব্যবস্থা করতে হবে। এই তিনদিন তিনরাত বাস চলবে এবং উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে রাজ্য পাড় হবে বলে খবর। যদিও অন্যান্য রাজ্যগুলি করোনা সংকটকালে কোনরকম ব্যবস্থা করতে পারবেনা তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। ফলে এবার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই পড়ুয়াদের একসঙ্গে না ফিরিয়ে খেপে খেপে যাতে ফেরানো যায়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্যের বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলার বাসিন্দারা আটকে রয়েছেন। তারমধ্যে অসুস্থ জনিত কারণে চিকিৎসার জন্যও যেমন আছেন, তেমনই কর্মসূত্রে বহু শ্রমিকও বাইরে আছেন। এবার তাঁদের ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন টুইটারে জানিয়েছেন, ‘লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা রাজ্যবাসীকে বাড়িতে রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে। আমি সরকারি আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছি। যতক্ষণ আমি আছি, রাজ্যের কারোর নিজেকে অসহায় মনে করার প্রয়োজন নেই। সংকটের সময় আমি সকলের সঙ্গে আছি।’

এরপরেই তিনি আরো একটি টুইট লেখেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছি। সাহায্যের কোনও খামতি থাকবে না। কোটায় আটকে থাকা পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।’ পরে মুখ্যমন্ত্রীর টুইটটি রিটুইট করে যুব তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানান। তবে এই পুরো বিষয়টি বিরোধীরা আগামী দিনের রাজনৈতিক চমক বলে ধরে নিয়েছেন। তাঁদের মতে, পুরোটাই একটা গিমিক।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিযায়ী শ্রমিক এবং বাংলার বাইরে অন্যান্যরা যেভাবে আটকে রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার যদি সত্যিই কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয় তাহলে পুরো ব্যাপারটি অবশ্যই প্রশংসাজনক। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, রাজ্যের এই সংকটকালে বাইরে থেকে রাজ্যে প্রবেশ করলে এ রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। আপাতত এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেদিকে নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!