এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্মীদের বেতন দেওয়ার পয়সাটুকুও নেই! এবার কেন্দ্রের কাছে হাত পাতছেন এই মুখ্যমন্ত্রী!

কর্মীদের বেতন দেওয়ার পয়সাটুকুও নেই! এবার কেন্দ্রের কাছে হাত পাতছেন এই মুখ্যমন্ত্রী!


করোনা সংক্রমণকে ঠেকাতে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। যার জের এখনো অব্যাহত। লকডাউন এর কারণে একে একে দেশের সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস কাছারি বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে একধাক্কায় দেশের অর্থনীতির গ্রাফ সোজা নিচের দিকে চলে এসেছে। বলাই হচ্ছে, গত কয়েক মাসের কর্মপরিধির নিরিখে দেশের অর্থনীতি প্রায় খাদের ধারে এসে পৌঁছেছে। দেশের প্রতিটি রাজ্যের একই অবস্থা প্রায়। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরাসরি সরকারি সাহায্য চাইলেন রাজ্যের কর্মীদের মাইনে দেবার জন্য।

অর্থনীতি মন্দা হওয়ায় রীতিমতন খাঁড়ার ঘা কেজরিওয়াল সরকারের ওপর। প্রায় 5 হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি বলে জানা গেছে। একেবারে সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি টুইট করেছেন এদিন। করোনা সংক্রমণের প্রথম কিছুদিন পর থেকেই রাজধানী দিল্লির নাম করোনা তালিকায় সবার ওপরে উঠে এসেছে। অন্যদিকে দিল্লির অর্থনীতির হাল লকডাউন এর জেরে পুরোপুরি নিম্নমুখী। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি সবকিছু বন্ধ। যার ফলে সরকারের কোষাগারের পড়েছে টান।

জুনের শুরুতেই সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে তিনি যে মর্মে টুইট করেছেন সেটি হল, “এই সঙ্কটের মুহুর্তে আমি কেন্দ্রকে দিল্লির পাশে থাকার আবেদন করেছি।” অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের কাছে ৫ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলো বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে সাহায্য পেলেও দিল্লি কিছুই পায়নি। সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে দিল্লি সরকারের প্রয়োজন ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাকি খরচ বাবদ প্রয়োজন আরও দেড় হাজার কোটি টাকা।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানিয়েছেন, গত দুই মাসে জিএসটি বাবদ দিল্লি সরকার প্রায় 500 কোটি টাকা আয় করেছে। সেখান থেকে কর্মীদের বেতন মেটাতে গেলেও আরো 7 হাজার কোটি টাকা দিল্লি সরকারের প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথম থেকেই লকডাউনের বিধি মেনে বেশ কিছু স্থানে ব্যবসা শুরু করার আবেদন করে আসছিলেন এতদিন। আমরা দেখেছি, দেশের মধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি করোনা সম্পর্কিত চরম সত্যটি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছিলেন, “আমাদের করোনা নিয়েই বাঁচতে হবে। আসুন করোনার সঙ্গে বাঁচতে শিখি।”

অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যের সাথে সাথে কেন্দ্রেরও আর্থিক অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী। অর্থাৎ করোনার কারণে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি ইত্যাদি আয় এর পথগুলি বন্ধ থাকায় কেন্দ্রের ভাঁড়ারেও পড়েছে টান। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন বলে জানা যায়। কেন্দ্র রাজ্যকে হাজার কোটি টাকা আর্থিক অনুদান পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তও বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বলে খবর। আপাতত দেখার কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ হওয়া সত্ত্বেও দিল্লির সরকারি কর্মচারীদের মাইনে পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুদান পৌঁছায় কিনা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!